কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা A to Z জেনে নিন।

শেয়ার করুন

কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা সম্পর্কে বিস্তার জানুন আজকের পোস্টে। উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থা, চাকরির সুযোগ ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধার জন্য কানাডা স্টুডেন্টদের পছন্দের শীর্ষে। আমাদের মধ্যে অনেকে স্টুডেন্ট ভিসায় কানাডা যাওয়ার স্বপ্ন দেখেন।

আপনি কিভাবে কানাডা যাবেন, কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা কত টাকার ব্যাংক স্টেটমেন্ট লাগবে, কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা কি কি যোগ্যতা লাগে, কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং এজেন্সি, কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা খরচ সহ বিস্তারিত জানুন আজকের পোস্টে।

কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা। Canada Student Visa

কানাডা স্টুডেন্ট ভিসায় সাধারণত দুই ক্যাটাগরি স্টুডেন্টরা বেশি গিয়ে থাকে।

  • ফ্রেশ গ্রাজুয়েট ও
  • চাকরির প্রত্যাশীরা

তবে উভয়ের ক্ষেত্রে রিকোয়ারমেন্ট একই। চাকরি প্রত্যাশীদের ক্ষেত্রে তাদের আগের একাডেমিক যোগ্যতা দেখা হয়। কাজের অভিজ্ঞতা যদি থাকে তাহলে তার প্রমাণপত্র বা নথি প্রয়োজন হবে। IELTS স্কোর সর্বনিন্ম ৬.০০। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান বা সাবজেক্ট ভেদে কিছুটা কম বেশিও হতে পারে। নিম্নে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরা হলো।

কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা কত টাকা ব্যাংক স্টেটমেন্ট লাগবে

এক দেশ থেকে অন্যদেশে যাতায়াত বা ভ্রমণ করতে হলে ব্যাংক স্টেটমেন্ট প্রয়োজন হয়। দেশ, ভিসা ক্যাটাগরি ও ভিসা ধরণ অনুযায়ী এটি কম বেশি হতে পারে। কিন্তু কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা ব্যাংক স্টেটমেন্ট কত টাকা দেখাতে হবে তা জানতে চান অনেকে। কানাডা ইউরোপের উত্তরাংশে অবস্থিতি একটি উন্নত রাষ্ট্র। কানাডা ৪টি বিশ্ববিদ্যালয় পৃথিবীর শীর্ষ ১০০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে অন্যতম। তাই শুধু বাংলাদেশ নয় বিশ্বব্যাপী এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।

অনেকে মনে করে কানাডা স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে অনেক বেশি পরিমানে ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখাতে হবে। কেউ কেউ মনে করেন ১৫ লাখ টাকা দেখাতে হবে। আবার কেউ কেউ ২৫ লাখ টাকাও বলে থাকে। কিন্তু সঠিকভাবে কত টাকা লাগবে? চলুন জেনে নেওয়া যাক।

কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা ব্যাংক স্টেটমেন্ট কত টাকা দেখাতে হবে এটি মূলত ৩টি ফ্যাক্টরের উপর নির্ভর করে থাকে। যা জানা থাকলে আপনি খুব সহজে বুঝতে পারবেন কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা ব্যাংক স্টেটমেন্ট কত টাকা দেখাতে হবে। ফ্যাক্টর ৩ টি হলো।

  • First year tuition fees of your University
  • First year living cost of your province and
  • Other Additional cost

০১ টিউশন ফি

টিউশন ফি University to University ভ্যারি করে। যেমন: কানাডা মেমোরিয়াল ইউনিভার্সিটি প্রথম বছরের টিউশন ফি ২০ হাজার কানাডিয়ান ডলার। যেটা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১৫-২০ লক্ষ টাকা।

০২ বসবাস খরচ

Living cost মূলত আপনি কোন শহরে বসবাস করছেন তার উপর নির্ভর করে কম বেশি হতে পারে। যদিও কানাডার শহর অঞ্চলে বসবাসের জন্য ১,০০০ থেকে ১,৫০০ কানাডিয়ান ডলার হলেই যথেষ্ঠ হয়। কিন্তু CAC ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী কানাডা Living cost হিসেবে কম পক্ষে ১০ হাজার কানাডিয়ান ডলার ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখাতে হবে। যেটা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকা।

০৩ Other cost বা আনুষাঙ্গিক খরচ

Tuition fees ও living cost ছাড়াও আরোও কিছু আনুষাঙ্গিক খরচ প্রয়োজন হবে। যেমন: যাতায়াত খরচ, ক্যামপাস ফি, হেলথ ইন্সুরেন্স ইত্যাদি। সব মিলে আরোও ৪ থেকে ৫ হাজার কানাডিয়ান ডলার প্রয়োজন হতে পারে।

সুতারাং, উপরোক্ত ৩টি ফ্যাক্টর মিলিয়ে একজন স্টুডেন্টকে কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা ব্যাংক স্টেটমেন্ট হিসেবে ২০ থেকে ৩০ লক্ষ টাকা দেখাতে হবে।

এখানে বলে রাখা ভালো। আপনার স্পন্সার ব্যক্তি যদি আর্থিকভাবে সচ্ছল হন এবং আরো বেশি টাকা দেখাতে সক্ষম হন। তাহলে তা দেখানো ভালো হবে। কারন আপনার ব্যাংক স্টেটমেন্ট এ যত বেশি দেখাবেন আপনার ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা ততটাই বেড়ে যাবে। এখন অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে এই টাকা সেভিং একাউন্টে নাকি সঞ্চয়পত্র দেখাবেন? তাদের জন্য বলে রাখা ভালো এই অর্থ আপনি সেভিং একাউন্ট বা সঞ্চয়পত্র যেকোনো জায়গায় দেখাতে পারবেন।

কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা কি কি যোগ্যতা লাগে

আপনারা যারা কানাডায় স্টাডি করতে যেতে চাচ্ছেন বা কানাডা স্টুডেন্ট ভিসায় কিংবা স্কলারশিপ নিয়ে উচ্চ শিক্ষার জন্য যেতে চাচ্ছেন, তাদের প্রত্যেককের কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা কি কি যোগ্যতা লাগে সেটা জানা জরুরি। তাহলে আপনি খুব সহজে কানাডায় স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে পারবেন। তাহলে চলুন এ পর্যায়ে জেনে নেওয়া যাক কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা কি কি যোগ্যতা লাগে।

কানাডায় স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে হলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যোগ্যতা হলো IELTS স্কোর। কানাডা স্টুডেন্ট ভিসার সর্বনিম্ন Ielts স্কোর 6 পয়ন্ট হতে হবে। এক্ষেত্রে আপনাকে একাডেমিক IELTS পরীক্ষা দিতে হবে। সবচেয়ে কম খরচে কানাডা যেতে হলে স্টুডেন্ট ভিসায় আবেদন করতে হবে।

কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা যেতে হলে অনলাইনে কানাডিয়ান অফিসিয়াল ওয়েবসাইট citizenship and immigration website Canada বা https://www.canada.ca/en/immigration-refugees-citizenship/services/visit-canada.html থেকে ভিসা আবেদন করতে হবে। এছাড়াও আপনি চাইলে কানাডিয়ান বিভিন্ন এজেন্সির কাছে ভিসা আবেদন করতে পারেন।

কানাডা ভিসা পেতে কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন

ielts স্কোর ছাড়াও কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা পেতে প্রয়োজন হবে আরোও কিছু গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট যেমন:

  • অনলাইন জন্ম নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচপত্রের কপি।
  • SSC ও HSC পরিক্ষার সার্টিফিকেট অথবা সর্বশেষ স্টাডি সার্টিফিকেট।
  • শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রশংসাপত্র।
  • কানাডিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন পত্র।
  • সর্বনিম্ন ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট।
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্সি সার্টিফিকেট।
  • মেডিকেল সার্টিফিকেট।
  • কানাডার যে ইউনিভার্সিটিতে আপনি পড়তে ইচ্ছুক সেই ইউনিভার্সিটির এডমিশন লেটার বা এক্সেপট্যান্স লেটার লাগবে।
  • স্পন্সারশিপ লেটার ও ব্যক্তির তথ্যাদি।

কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং এজেন্সি

বিদেশে যাওয়া বা বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য সবার প্রথমে আমাদের সকলের যে কথাটি মাথায় আসে সেটা হল ভালো এজেন্সি কিভাবে পাব? ভালো এজেন্সি কোনটি? তাই এই পর্যায়ে আমরা আলোচনা করব কানাডায় স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং এজেন্সি সম্পর্কে। কোন এজেন্সি আপনার জন্য ভালো হবে বা এজেন্সির সাহায্যে কানাডা যাওয়ার কতটা যুক্তিসংগত হবে।

শুরুতে বলে রাখি আপনারা যারা কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং এজেন্সি খুঁজছেন, তারা মনে করেন থাকেন হয়ত এজেন্সি মাধম্যে আবেদন করলে আপনি ১০০% ভিসা পেয়ে যাবেন। তা কিন্তু মোটেও সঠিক নয়। কেননা এজেন্সি হচ্ছে শুধুমাত্র একটি মাধ্যম যা আপনার হয়ে সকল কাজ করে দেবে। আপনি চাইলে নিজে নিজেও কাজ গুলা করতে পারেন।

এজেন্সির মধ্যমে ভিসা আবেদন করলে যেমনিভাবে ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ঠিক একইভাবে এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করে অনেকেই ভুক্তভোগী হয়েছেন। অনেক টাকা লোকশান দিয়েছেন। আবার অনেকের ভিসা রিফিউজড হয়েছে বা ৫ বছরের জন্য ব্যান্ড হয়েছে। তাই এজেন্সির সাহায্য নেওয়ার পূর্বে অবশ্যই সতর্ক থাকুন।

এছাড়াও আরেকটি কথা বলে রাখা ভালো, সরাসরি আবেদনের চেয়ে এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করলে সবচেয়ে বেশি টাকা প্রয়োজন হবে। সুতারাং আপনি যদি কম খরচের মধ্যে কানাডায় আসতে চান, তাহলে এজেন্সির সাহায্য ছাড়াই নিজে নিজেই চেষ্টা করুন।

এখানে আমরা ব্যক্তিগতভাবে কোন এজেন্সির কথা শেয়ার করব না। এটি সম্পূর্ণ আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার। আপনি কোন এজেন্সির মাধ্যমে কানাডা ভিসা আবেদন করবেন। কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং ভালো এজেন্সি খুঁজে পেতে আপনি পরিচিত ব্যক্তিদের বা ফেসবুক থেকে সিনিয়র কানাডিয়ান প্রবাসীদের সাহায্য নিতে পারেন।

কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা

কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা খরচ

আমাদের মধ্যে অনেকে কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা খরচ সম্পর্কে জানতে চান। অর্থাৎ কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং করতে কত টাকা খরচ হবে। কানাডায় স্টাডি করার জন্য কত টাকা লাগবে এবং সর্বমোট কত টাকার মধ্যে কানাডা স্টুডেন্ট ভিসায় যাওয়া যাবে। তাদের জন্য এই পয়েন্টে আমরা কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা খরচ সম্পর্কে আলোচনা করবো।

কানাডায় স্টুডেন্ট ভিসায় আসতে হলে আপনাকে বাংলাদেশ থেকে খরচ গুনতে হবে। কেননা কানাডায় আসার জন্য সবচেয়ে বেশি জরুরি IELTS সার্টিফিকেট। আপনি যদি নিজে নিজে IELTS পরীক্ষার প্রস্তুতি গ্রহণ করেন তাহলে এখানে আপনাকে কোন টাকা খরচ করতে হচ্ছে না। কিন্তু আপনি যদি কোন কোচিং সেন্টারে ভর্তি হন তাহলে সর্বনিম্ন ১২,০০০ টাকা থেকে শুরু করে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত কোচিং ফি দিতে হবে। তাহলে এখানে আমরা কোচিং ফি হিসেবে ১২ হাজার টাকা ধরলাম।

IELTS প্রস্তুতি নিতে নিতে আপনাকে পাসপোর্ট তৈরি করতে হবে। কেনান বিদেশ যাওয়ার জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট গুলোর অন্যতম পাসপোর্ট। যেটা ছাড়া আপনি এক দেশ থেকে অন্য দেশে বৈধভাবে যাতায়াত করতে পারবেন না। তাই শুরুতেই একটি পাসপোর্ট তৈরি করুন। যেটি করতে আপনাকে সর্বনিম্ন ৬ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১২,০০০ টাকা পর্যন্ত খরচ করতে হবে। এখানে আমরা পাসপোর্ট খরচ ৬ হাজার টাকা ধরলাম।

পাসপোর্ট তৈরি হয়ে গেলে এ পর্যায়ে আপনাকে IELTS রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। Ielts রেজিস্ট্রেশন ফি হিসেবে আপনাকে ২০ হাজার টাকা খরচ করতে হবে।

ইউনিভার্সিটি অ্যাপ্লিকেশন ফি

IELTS সার্টিফিকেট পাওয়ার পর এখন আপনাকে ভিসা আবেদন করতে হবে এর জন্য আপনাকে কানাডিয়ান বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে হবে। যার জন্য প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন ফি বাবাদ ১০০$ থেকে ১৫০$ ডলার জমা দিতে হবে। যা বাংলাদেশি টাকায় ১৭ থেকে ২৫ হাজার টাকা। এখন আপনি যদি একের অধিক ইউনিভার্সিটি তে আবেদন করেন তাহলে আপনাকে আরো বেশি টাকা ফি প্রদান করতে হবে।

First semester fee

ভিসা অফার লেটের হাতে পাওয়ার পর এ পর্যায়ে আপনাকে First semester fee জমা করতে হবে। তাহলে আপনার ভিসা পাওয়ার সম্ভাবণা বেড়ে যাবে। First semester fee হিসেবে প্রতিটি স্টুডেন্টকে প্রায় ৮,০০০ ডলার জমা দিতে হয়। যা বাংলাদেশি টাকায় ৯ থেকে ১০ লক্ষ টাকা। এখানে আমরা ৯ লক্ষ টাকা ধরলাম।

CR ভেলুশন ফি/ lawyer higher

CR ভেলুশন রেডি করার জন্য একজন আইনজীবী কে হায়ার করা লাগে। যিনি আপনার হয়ে আপনার সকল ডকুমেন্ট চেক করে দিবে। কোন ডকুমেন্ট বাংলায় থাকলে সেটিকে ইংরেজিতে ট্রান্সলেট করে তৈরি করে দিবে। কগজপত্র গুলোকে নোটারি করে দিবে। তো আইনজীবী কত টাকা চার্জ করবে এটি মূলত আপনার কাগজপত্রের উপরে নির্ভর করে কম বেশি হতে পারে। একেক আইনজীবী একেক রকম চার্জ ধরে। তবে সাধারণত ৫,০০০-৭,০০০ হাজার টাকার মধ্যে একজন আইনজীবী হায়ার করা যাবে।

এছাড়াও CA ভেলুশন বা CA ফ্রার্ম দিয়ে যেতে আরোও ৪,০০০ থেকে ৫,০০০ টাকা খরচ হবে। CA ফ্রার্ম মূলত আপনার সকল ডকুমেন্ট কে কানাডিয়ান অফিসিয়াল Government অফিসে পাঠিয়ে বৈধতা প্রমাণ করতে হয়। সেখান থেকে এই টাকা চার্জ করে থাকে।

ভিসা এপ্লিকেশন ফি

এপর্যায়ে আপনি ভিসা এপ্লিকেশন করতে সম্পূর্ণ তৈরি। এখন কানাডা ভিসা এপ্লিকেশন আবেদন করতে আপনাকে ২৩৫$ ডলারের মতো খরচ করতে হবে।

মেডিকেল ফি

সেডিকেল ফি অনেকে ভিসা এপ্লিকেশন করার সময় বা পরে দিয়ে দেয়। কিন্তু আপনি চাইলে এখানে কিছু দিন অপেক্ষা করতে পারেন   মেডিকেল কল আসার জন্য। যদি মেডিকেল থেকে কল আসে তাহলে বুঝতে হবে আপনার ভিসা হওয়ার সম্ভাবণা রয়েছে। তখন আপনি চাইলে মেডিকেল ফি দিয়ে দিতে পারেন। মেডিকেল ফি হিসেবে আরোও ৮০$ থেকে ৯০$ ডলার টাকা খরচ হবে।

কানাডা শপি খরচ

সব কিছু করার পর যদি আপনার ভিসা এপ্লিকেশন এক্সেপ্ট হয় তাহলে আপনাকে Congregation! এখন আপনাকে কানাডা আসার প্রস্তুতি স্বরুপ শপিং করতে হবে। শপিং বিল হিসেবে প্রত্যেকটি স্টুডেন্ট এর ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়। এখানে আমি ৩০ হাজার টাকা ধরলাম।

বিমানের টিকেট খরচ

এখন আপনাকে বিমানের টিকেট কাটতে হবে। বিমানের টিকেট কাটতে আপনার আরোও ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হবে। এখানে আমি ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ধরলাম।

ক্যাশ টাকা

কানাডা আসার পর আপনাকে আরোও একটি খরচ হিসেব করতে হবে। সেটি হলো কানাডা আসার সময় আপনাকে ক্যাশ কিছু টাকা হাতে নিয়ে আসতে হবে। এখানে আসার পর আপনার আরোও কিছু খরচ আসবে। সব মিলে ২ থেকে ৩ হাজার ডলার খরচ হতে পারে।

তাহলে সব মিলে কানাডা আসতে আপনার খরচ হচ্ছে 12,000$ ডলার থেকে 15,000$ ডলার। যেটা বর্তমানে বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৩ থেকে ১৬ লাখ টাকার মতো। আশা করি, মোটামুটি একটা আইডিয়া পেয়েছেন কানাডা আসতে একজন স্টুডেন্ট এর কত টাকা খরচ হতে পারে।

কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা FAQ

  • প্রশ্ন: কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা হতে সর্বোচ্চ কত সময় লাগে?

  • উত্তর: কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা হতে কত সময় লাগে এটি মূলত ভিসা প্রসেসিং কম্পানি, ভিসা প্রাপ্তির সময় ও আরোও অনেক বিষয়ের উপর নির্ভর করে। তবে সাধারণত কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা হতে ৪ থেকে ৬ সপ্তাহ বা ৩০ থেকে ৪৫ দিন অথবা ৬০ দিন সময় লাগতে পারে।
  • প্রশ্ন: কানাডা স্টুডেন্ট ভিসায় ভিসা নাম্বার কোথায় থাকে?

  • উত্তর: কানাডা স্টুডেন্ট ভিসায় ভিসা নাম্বার ভিসা স্ট্যাম্পের ডানদিকে Visa Issue ও Visa expire date এর নিচে ভিসা নাম্বার দেখতে পাবেন।
  • প্রশ্ন: কানাডা কি সহজে স্টুডেন্ট ভিসা দেয়?

  • উত্তর: ২০২৩ সাল পর্যন্ত সহজে কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা পেলেও ২০২৪ সালের আপডেটের পর কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা পেতে সমস্যা হতে পারে বলে মনে করেন অনেকে। তবে সব ডকুমেন্ট বৈধ থাকলে এবং প্রস্তুতি ভালো হলে সহজে কানাডা ভিসা পাওয়া যাবে বলে ধারণা করা যায়।

আরো জানুনঃ

বাংলাদেশে কানাডার এম্বাসি কোথায় জেনে নিন।

কানাডায় কোন কাজের চাহিদা বেশি। কানাডায় সর্বনিম্ন বেতন কত?

কানাডার ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা। কানাডা ডলার রেট।

 

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *