কিভাবে ফাইবারে ১ম অর্ডার পাবেন ও সঠিক গিগ তৈরি করবেন ?

শেয়ার করুন

বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্ম গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ফাইবার। একজন নতুন ফ্রিল্যান্সারের কাছে এটি তার ক্যারিয়ার যাত্রার প্রথম ধাপ। আপনি যদি সামান্য একটু কষ্ট করতে এবং ধৈর্য ধরতে পারেন তাহলে খুব সহজে ফাইবার থেকে অর্ডার নিতে পারবেন।

যদিও কারো কারো ক্ষেত্রে এটি তার ব্যতিক্রম। অনেকে দীর্ঘদিন যাবত ফাইবার, ফ্রিল্যান্সার, আপওয়ার্ক সহ বিভিন্ন প্লার্টফর্মে পড়ে থাকা সর্তেও কাজ পাচ্ছেন না। আজকের পোস্টি তাদের জন্য। আজ আমরা জানবো কিভাবে ফাইবার থেকে খুব কম সময়ের মধ্যে আপনার প্রথম অর্ডারটি পাবেন এবং কোন কোন কারণে আপনি অর্ডার পাচ্ছেন না ইত্যাদি। তো চলুন শুরু করি…..

ফাইবারে অর্ডার পাওয়ার উপায়:

ফাইবারে অর্ডার পাওয়ার প্রদান মাধ্যম হলো সঠিক গিগ তৈরি। গিগ তো আমরা সবাই তৈরি করতে করি কিন্তু কয়জন পারেন একটি এসইও সম্পন্ন গিগ তৈরি করতে। ফাইবারে আশার পূর্বে যেমনি ভাবে আপনাকে একটা বিষয়ে দক্ষ হয়ে আসতে হবে। ঠিক একইভাবে ফাইবার কাজ পাওয়ার জন্য জানতে হবে সঠিক পদ্ধতিতে গিগ পাবলিশিং।

তবে তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো একটি গুণগত ফাইবার প্রোফাইল। কেননা একজন বায়ার কাজের অর্ডার দেওয়ার পূর্বে সে আপনার ফাইবার একাউন্টি ভিজিট করে থাকেন এবং জানার চেষ্টা করে আপনার কাজের অভিজ্ঞাতা সম্পর্কে। তাই প্রথমে নিজের প্রোফাইলটি ঠিক করুন।

ফাইবার প্রোফাইল তৈরি

আপনার প্রোফাইলের যে যে বিষয় গুলো বায়ারকে অর্ডার করার জন্য আগ্রহ যোগাবে সেগুলো হলো:

  • স্কিল
  • প্রোফাইল ডেসক্রিপশন
  • অর্ডার রিভিউ
  • স্কেল

অর্থাৎ আপনি যে কাজের ওপরে নিজেকে এক্সপার্ট বলে দাবী করেন সেই কাজে আপনার স্কেলটা কেমন।

প্রোফাইল ডেসক্রিপশন

বায়ার সাধারণত ডেসক্রিপশনে যেসব বিষয়ে নজর দেন তাহলো: আপনার ডেসক্রিপশনটি কেমন, ডেসক্রিপশনে উল্লেখিত বিষয় বলে স্পষ্ট কিনা, আপনার ডেসক্রিপশনটি সাজানো গোছানো এবং তথ্যবহুল কিনা ইত্যাদি।

তাই অব্যশই ডেসক্রিপশন তৈরি ক্ষেত্রে এসব বিষয়ে নজর দিন। কম লেটারের মধ্যে আপনার নিজের সম্পর্কে একটা পরিপূর্ণ ধারণা দিন, আপনি কি কি কাজ করেন, কিভাবে কাজ করেন, কতটা কম্পানীর হয়ে ইতিপূর্বে কাজ করেছেন ইত্যাদি। এখন অনেকে বলবেন আমি তো সম্পূর্ণ নতুন কোন কম্পানীর সাথে ইতিপূর্বে কাজ করিনি তাহলে কিভাবে তথ্যটি দিব।

আরোও পড়ুনঃ ফাইবারে ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে ১০ লাখ টাকা ইনকামের প্রমাণ।

তাদের উদ্দেশ্য বলি। যদিও আপনি নতুন কিন্তু প্রোফাইলে এটি উল্লেখ করা যাবে না। আপনি কম্পানির বিষয়টি এড়িয়ে চলুন। আর নয়তো এভাবে বলুন যে ‘ আপনি ইতিপূর্বে স্থানীয় কিছু কম্পানী ও অন্যান্য ফ্রিল্যাংন্সিং প্লাটফর্ম যেমন: ফ্রিল্যান্সার, আপওয়ার্ক, পিপলপার হাওয়ার ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করেছেন সেখানে আপনার একটি উচ্চ প্রোফাইল রয়েছে’

অর্ডার রিভিউ

নতুনদের অর্ডার পাওয়ার জন্য এই জিনিসটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। অর্থাৎ আপনার অর্ডার রিভিউ।  যেহেতু আপনি নতুন তাই আপনার প্রোফাইলে কোন পসেটিভ বা নেগেটিভ অর্ডার রিভিউ নেই। কিন্তু আপনি চাইলে সামান্য কিছু টাকা খরচ করে দু একটা রিভিউ ক্রয় করে নিতে পারেন।

অথবা আপনার জানাশোনা কোন ভাই বন্ধু বিদেশে থাকলে তাদের থেকেও রিভিউ নিতে পারেন। এটিও আপনাকে অর্ডার পেতে অনেকটা সহায্য করবে। কিন্তু আপনার যদি এমন সুযোগ সুবিধা না থাকে তাহলে আপনি আপনাকে গিগের প্রতি একটু বেশি করে নজর দিতে হবে।

সঠিক গিগি পাবলিশিং

অর্ডার পাওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে জিনিসটি সেটি হলো সঠিক গিগ তৈরি। আপনার প্রোফাইল যতই ভালো হোকনা কেন যদি আপনার গিগটি সঠিকভাবে এসইও করা না হয় তাহলে আপনি কখনও অর্ডার পাবেন না। তাই সঠিক গিগ তৈরি করা শিখুন।

কিভাবে সঠিক গিগ বানাবেন ?

একটি এসইও সম্পন্ন গিগ তৈরি করতে হলে আপনাকে যেসব বিষয়ে নজর দিতে হবে তাহলো:

  • গিগ টাইটেল
  • ক্যাটাগোরি
  • ডেসক্রিপশনটি
  • প্রাইচ
  • কভার ইমেজ বা ভিডিও তৈরি
  • মার্কেটিং

গিগ টাইটেল

আপনাকে সর্বোচ্চ ৬০ শব্দের ভিতরে একটি এসইও সম্পন্ন টাইটালে তৈরি করতে হবে। একই সাথে এই ৬০ শব্দের মধ্যে আপনার সার্ভিসটির ব্যখ্যা করতে হবে। কিভাবে একটি এসইও সম্পন্ন ইউনিক টাইটেল তৈরি করবেন সেটা জানতে আপনি ফাইবারে গিয়ে Services সার্চ অপশনে আপনার ক্যাটাগোরি দিয়ে সার্চ করুন এবং অন্য ফ্রিল্যান্সারদের টাইটেল ফলো করুন।

ক্যাটাগোরি

সঠিক ক্যাটাগোরি বেছে নেওয়া। অনেক নতুন ফ্রিল্যান্সার বুঝতে পারেন না যে তার গিগের সঠিক কেটাগোরি কোনটি হওয়া উচিত। উদাহরণ হিসেবে ধরুণ আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইনার তাহলে আপনার ১ম ক্যাটাগোরি গ্রাফিক্স এন্ড ডিজাইন হওয়া উচিত। তারপর আপনি যদি Adobe বা illustrator এক্সপার্ট হোন তো সেই ক্যাটাগোরি বেছে নিন। এভাবে সঠিক ক্যাটাগোরি বেছে নিতে হবে।

ডেসক্রিপশন

একটি গিগ রেংক করা বা অর্ডার পাওয়ার জন্য গিগ ডেসক্রিপশন সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে। তাই এই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে লেখা উচিত। একটি সঠিক গিগ ডেসক্রিপশনে যে যে বিষয় গুলো থাকবে।

  • বায়ারকে সম্বোধন করে একটা কিওয়ার্ড
  • আপনার অভিজ্ঞাত
  • গিগের বিস্তারিত বর্ণনা
  • গিগ সার্ভিস সমূহ
  • গিগ অফার

এসব বিষয়ে লেখার পূর্বে অব্যশই আপনার সঠিক Sentence গঠন ও word এর সঠিক বানান সম্পর্কে জ্ঞান থাকতে হবে।

ডেমো ডেসক্রিপশনঃ 

ধরুণ আপনি একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার তাহলে আপনার গিগের সঠিক ডেসক্রিপশনটি যেভাবে লেখা উচিত।

Hey, I’m happy to see you here.

This is Sheikh, I am a unique and expert graphic designer since 2022. I am working for native and outdoor client. I have already worked for 45+ companies in the world.

Why client choose me

Because I work for client satisfaction my motto is ‘Commitment to the highest service’ I will do for you..

  • Best and unique design
  • Low cost
  • Quality Full design
  • Colorful design
  • Image SEO etc.

Discount here 

Get a 20% discount on your first order. So don’t waste your precious time.

গিগ প্রাইজ

আপনার গিগের সঠিক মূল্য নির্ধারণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেকে মনে করে থাকে গিগের মূল্য কম করে দিলে বেশি ওয়ার্ডারে আসবে ব্যাপারটা তা নয়। আপনার গিগের মূল্য সর্বদা মাঝা-মাঝি

পর্যায়ে রাখা উচিত। কিভাবে বুঝবেন কোন গিগের জন্য কোন প্রাইজটি উপযুক্ত ?

সেটি জানতে ফাইবারে গিয়ে আপনার ক্যাটাগোরির ওপরে সার্চ করুন এবং দেখুন সেখানে ফাইবারের ফাস্ট পেইজ এ থাকা গিগ গুলোর অর্ডার কেমন। তাদের প্যাকেজ গুলো কেমন। কোন প্যাকেজের কেমন মূল্য। তাহলে আপনি মোটামুটি একটা ধারণা পেয়ে যাবেন যে আপনার গিগের মূল্য কেমন নির্ধারণ করা উচিত।

কভার ইমেজ বা ভিডিও

একটি ফাইবার গিগে নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সর্বোচ্চ ৩টি ইমেজ ও একটি ভিডিও আপলোডের সিস্টেম থাকে। তাই এই তিনটিন ইমেজ ও ভিডিও ইউনিক ও আর্কষণীয় হওয়া উচিত। কিভাবে একটি ইউনিক বা আর্কষণীয় কভার ইমেজ ও ভিডিও তৈরি করবেন। জানতে চোখ রাখুন Onlinesheba24.com ওয়েবসাইটে।

মার্কেটিং

শুধু গিগ তৈরি করে বসে থাকলে যে অর্ডার আসবে ব্যাপারটা তা নয়। কারো কারো ক্ষেত্রে এমনটি হয় যে মার্কেটিং ছাড়াও ১ম অর্ডার চলে আসে। যেমনটি আমার সময় হয়েছে। তবে সবার ভাগ্যযে একরকম হবে তা নয়। তাই গিগ তৈরি শেষে সেটার মার্কেটিং করা অতি জরুরি কাজ।

বিশেষ ঘোষণাঃ

আপনি যদি ফাইবার প্রোফাইলে রিভিউ বা সঠিক গিগ তৈরি অথবা কভার ইমেজ তৈরি বা ভিডিও তৈরি কিংবা সঠিক মার্কেটিং ও অর্ডার পাওয়ার কৌশল না জেনে থাকেন তাহলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। খুব কম মূল্যে আমি আপনাদের হয়ে এসব কাজ করে দিব। একই সাথে আপনি যদি ইংরেজিতে দুর্বল হওয়ার কারণে বায়ারের সাথে কথা বলতে পারছেন না এমন হয় তাহলে আমাদের সাথে যোগযোগ করে নিজের ইংরেজি স্কিল ডেভেলপ করতে পারেন। যোগাযোগের ঠিকানা : 01632727409

সবাইকে ধন্যবাদ।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *