নতুন মিটারের জন্য অনলাইনে আবেদন ও NESCO বিল পরিশোধ।
নতুন মিটারের জন্য অনলাইনে আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন আজকের পোস্টে। একই সাথে জানুন মিটারের আবেদন অনুসন্ধান, nesco প্রিপেইড বিল চেক, nesco প্রিপেইড বিল পরিশোধ বিকাশ, nesco প্রিপেইড বিল পরিশোধ রকেট, nesco প্রিপেইড বিল পরিশোধ নগদ ও উপায় দিয়ে nesco প্রিপেইড পরিশোধ করার নিয়ম সম্পর্কে। তাই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি ধৈর্যসহকারে পড়ার অনুরোধ রইল।
নতুন মিটারের জন্য অনলাইনে আবেদন
নতুন মিটারের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হলে প্রথমে আপনার মোবাইল ফোন অথবা কম্পিউটারে ডাটা সংযোগ চালু করুন। তারপর মোবাইল কিংবা কম্পিউটারে থাকা যেকোনো একটি ব্রাউজার ওপেন করুন এবং সার্চবারে rebpbs.com লিখে সার্চ করুন। তাহলে আপনাকে পল্লী বিদ্যুতের মেইন ওয়েব সাইটে নিয়ে যাবে। এখান থেকে নতুন মিটারের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।
এখন নতুন মিটারের জন্য অনলাইনে আবেদন শুরু করতে উপরের মেনু অপশন থেকে ‘আবেদন’ অপশনে কয়েক সেকেন্ড ট্যাপ করে ধরুন। তাহলে অনেকগুলো অপশন দেখতে পাবেন। সেখান থেকে ‘আবেদন করুন’ অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনার সামনে নতুন একটি ফরম চলে আসবে সেটি পূরণ করতে হবে। প্রথমেই ‘বিদ্যুৎ অফিসের বিবরণ’ নামে একটি অপশন পেয়ে যাবেন এবং সেখানে দুটি অপশন দেখতে পাবেন।
- সমিতির নাম এবং
- জৌনাল অফিস
এখন আপনি উপরে উল্লেখিত অপশন দুটি পূরণ করুন। তারপর নিচে ‘সংযোগ’ নামে একটা অপশন দেখতে পাবেন। সেখানে আপনার ‘সংযোগের ট্যারিফ’ সিলেক্ট করুন। অর্থাৎ আপনি কোন কাজের জন্য মিটার নিতে চাচ্ছেন সেটি সিলেক্ট করুন। যেমন: বাড়ি, অফিস, দোকান ইত্যাদি।
তারপর নিচে ‘আবেদনকারীর বিবরণ’ অপশন পেয়ে যাবেন। সেখানে অনেকগুলো অপশন দেখতে পাবেন। তথ্য গুলো অবশ্যই আইডি কার্ড দেখে পূরণ করুন। যেমন:
- আবেদনকারীর নাম (বাংলায়)
- পিতার নাম (বাংলায়)
- মাতার নাম (বাংলায়)
- স্বামী/স্ত্রীর নাম (বাংলায়)
- জন্ম তারিখ (ইংরেজি)
- জাতীয়তা
- জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর (ইংরেজি)
- পাসপোর্ট (ইংরেজি)
- মোবাইল নম্বর (ইংরেজি)
- ফোন নম্বর (ইংরেজি)
- ইমেইল (ইংরেজি)
- লিঙ্গ এবং
- টিআইএন নম্বর (TIN) (ইংরেজি)
উপরে উল্লেখিত অপশন গুলোতে আপনার এন আইডি কার্ড অনুযায়ী সঠিকভাবে পূরণ করা হয়ে গেলে নিচে আপনারর ‘স্থায়ী ঠিকানা’ সিলেক্ট করুন। যেমন:
- জেলা
- উপজেলা
- থানা
- ইউনিয়ান
- ডাকঘর (বাংলায়)
- পোস্ট কোড (ইংরেজি)
- গ্রাম
- পাড়া/মহল্লা/রোড নম্বর (বাংলা) এবং
- বাড়ির নাম/হোল্ডিং নম্বর বাংলা
উপরে উল্লেখিত অপশন গুলোতে আপনার ‘স্থায়ী ঠিকানা’ প্রদান করুন। তারপর নিচে ‘প্রস্তাবিত বিদ্যুৎ সংযোগ স্থলের বিবরণ’ অপশন পেয়ে যাবেন এবং তার নিচে অনেকগুলো অপশন দেখতে পাবেন। যেমন:
- জেলা
- উপজেলা
- থানা
- ইউনিয়ন
- ডাকঘর (বাংলা)
- পোস্ট কোড (ইংরেজি)
- গ্রাম মহল্লা
- পাড়া/রোড নম্বর (বাংলা)
- বাড়ির নাম/হোল্ডিং নম্বর (বাংলা)
- মৌজা
- দাগ নম্বর (ইংরেজিতে)
- খতিয়ান নম্বর (ইংরেজিতে)
- জমির মালিকানার ধরন এবং
- জমির আইনগত মালিক (বাংলায়)
নতুন মিটারের জন্য অনলাইনে আবেদন এর জন্য এখন অপশন গুলো আপনার ঠিকানা অনুযায়ী সঠিকভাবে পূরণ করুন। কিন্তু যদি আপনার স্থায়ী ঠিকানা ও প্রস্তাবিত বিদ্যুৎ সংযোগস্থলের ঠিকানা একই হয় তাহলে, ‘প্রস্তাবিত বিদ্যুৎ সংযোগস্থলের ঠিকানা হিসেবে ব্যবহার করুন’ অপশনে টিক মার্ক দিয়ে দিন। তাহলে আপনার স্থায়ী ঠিকানা প্রস্তাবিত বিদ্যুৎ সংযোগস্থলের ঠিকানা হিসেবে অটো বসে যাবে।
তারপর দাগ নম্বর ও খতিয়ান নম্বর আপনার দলিলের তফসিল দেখে পূরণ করুন। তাহলে নিচে জমির মালিকানা ধরন ও জমির আইনগত মালিকানা দুটি অপশন পেয়ে যাবেন। সেগুলো সঠিকভাবে পূরণ করুন।
নতুন মিটারের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে জিওগ্রাফিক তথ্য প্রদান করুন
প্রস্তাবিত বিদ্যুৎ সংযোগস্থল এর বিবরণ এর নিচে ‘জিওগ্রাফিক তথ্য’ অপশনটি পেয়ে যাবেন। সেখানে চারটি বিবরণ দেখতে পাবেন সেগুলো ভালো করে পড়ে নিন। তারপর জিওগ্রাফিক তথ্য হিসেবে নিকটবর্তী সার্ভিস পোল হইতে দূরত্ব (ইংরেজি), নিকটবর্তী বা পার্শ্ববর্তী গ্রাহকের ১৩ সংখ্যার হিসাব নং অথবা এস.এম.এস হিসাব নং প্রদান করুন। অর্থাৎ, আপনি যেই জোনাল অফিস বা দপ্তরের আওতায় মিটারের আবেদন করবেন। সে দপ্তর বা জোনাল অফিসের হিসাব নং প্রদান করুন।
তারপর কানেকশনের বিবরণ অপশন থেকে ‘আবেদন প্রকৃতি’ সিলেক্ট করুন। অর্থাৎ স্থায়ী সংযোগ নাকি অস্থায়ী সংযোগ কিনটি নিবেন সেটি সিলেক্ট করুন। এবারে আপনার ‘লোড’ নির্বাচন করতে হবে। অর্থাৎ আপনার বাসাবাড়ি যেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে চাচ্ছেন সেখানে কয়টি বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ব্যবহার করা হয় সেটি উল্লেখ করুন। সেখানে অনেকগুলো অপশন দেখতে পাবেন। যেমন:
- আইটেম নাম
- আইটেম সংখ্যা (ইংরেজি), লোড/আইটেম (ওয়াচ,ইংরেজি) এবং
- মোট লোড (ওয়ার্ট, ইংরেজি)
উপরে উল্লেখিত অপশনে আপনার ‘লোড’ নির্বাচন করুন। তারপর নিচে ‘চাহিদা কৃত লোড’ অপশন দেখতে পাবেন। যেমন:
- লোড (কিঃওঃ)
- ফেইজ এবং
- ভোল্ট
এখানে আপনার আপনার ‘চাহিদা কৃত লোড’ নির্বাচন করুন। এখন পরবর্তী অপশনে ‘বাড়ির/প্রতিষ্ঠানের লোকেশন এবং মন্তব্য (বাংলায়)’ লিখুন। তারপরে অপশন আপনাকে ছবি, জাতীয় পরিচয় পত্র এবং খারিজ আপলোড করতে হবে। এখানে ছবির সর্বোচ্চ সাইজ (৩০০*৩০০)১৫০ কিলোবাইটের ভিতরে আপলোড করতে হবে।
তারপর জাতীয় পরিচয় পত্রের সবোর্চ্চ সাইজ (৬০০*৪৭৫)৩০০ কিলোবাইটের মধ্যে হতে হবে এবং খারিজ সর্বোচ্চ সাইজ ৭০০ কিলোবাইট এবং নিজে জমির মালিক না হলে উত্তরাধিকার সনদ আপলোড করুন। একাধিক ডকুমেন্ট থাকলে pdf ফাইল আপলোড করুন।
এখন আপনি আগে থেকে আপনার কম্পিউটারে ছবিগুলো রিসাইজ করে রাখুন। তারপর ‘close file’ অপশনে ক্লিক করে ছবিগুলো আপলোড করুন। তারপর নিচের অপশনে ‘আমি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি এর নিম্নে উল্লেখ্য পরিষেরা শর্তাবলীর সাথে একমত হচ্ছি’ অপশনে ‘টিক চিহ্ন’ দিয়ে দিন। তারপর নিচের ‘ক্যাপচাটি’ সঠিকভাবে পূরণ করুন এবং ‘সংরক্ষণ করুন’ অপশন এ ক্লিক করুন। তাহলে আপনার আবেদনটি সাবমিট হয়ে যাবে।
তারপর আপনি ‘ওকে’ অপশনে ক্লিক করুন। এখন একটু স্ক্রোল করে নিচে নামলে ‘ডাউনলোড’ নামে একটি অপশন দেখতে পাবেন। সেখানে ক্লিক করুন। তাহলে আপনার আবেদন কপিটি ডাউনলোড হয়ে যাবে এবং সেটি দেখতে পাবেন। এখন নতুন মিটারের জন্য অনলাইনে আবেদনটি চূড়ান্তভাবে সাবমিট করার জন্য আপনাকে ওয়ারিং সম্পন্ন করে ওয়ারিং রিপোর্ট জমা করতে হবে।
ওয়ারিং রিপোর্ট জমা দেওয়ার নিয়ম
নতুন মিটারের জন্য অনলাইনে আবেদন এর এ পর্যায়ে আপনাকে ওয়ারিং রিপোর্ট জমা দিতে হবে। ওয়ারিং রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য ওয়েবসাইটির হোম পেজে চলে আসুন। তারপর পূর্বের ন্যায় ‘আবেদন’ সেকশনে কয়েক সেকেন্ড ট্যাপ করে ধরুন। তাহলে অনেকগুলো অপশন দেখতে পাবেন। সেখান থেকে ‘হাউজ ওয়ারিং নিশ্চিত করুন’ অপশন এ ক্লিক করুন।
তাহলে আপনার সামনে একটি ফর্ম ওপেন হবে। সেখানে আপনার আবেদন কপি থেকে আবেদনের ট্রাকিং নম্বর ও পিন নম্বর বসিয়ে সাবমিট করুন অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনার ফরমটি দেখতে পাবেন এবং নিচে ‘হাউস ওয়ারিং সম্পর্কিত তথ্য দিন’ অপশনে আপনার তথ্যগুলো দিয়ে পূরণ করুন। যেমন:
- হাউজ ওয়্যারিং নিশ্চিত করুন
- প্রাউন্ডিং রডের মেমো নং (ইংরেজি)
- বাড়ির অবস্থান সম্পর্কিত মন্তব্য (বাংলা)
- ইলেকট্রিশিয়ানের নাম (বাংলা) এবং
- ইলেকট্রিশিয়ানের মোবাইল নম্বর (ইংরেজি)
মনে রাখবেন এখানে লাল চিহ্নিত অপশন গুলো অবশ্যই পূরণ করতে হবে। তারপর নিচে থেকে সোলার সম্পর্কিত তথ্য গুলো পূরণ করুন।
সোলার সম্পর্কিত তথ্য
সোলার সম্পর্কিত তথ্যের ঘরে আপনাকে যেসব তথ্য দিতে হবে সেগুলো হলো:
- বাড়ির ছাদে খালি জায়গায় পরিমাণ (বর্গফুট)
- বাড়ি/প্রতিষ্ঠানে ধরন এবং
- সোলার সম্পর্কিত তথ্য দিন
এখন উপরের উল্লেখিত অপশনে আপনার সোলার সম্পর্কিত তথ্য লিখুন। তারপর নিচে আপনার গ্ৰাউন্ডিং রডের মেমো আপলোড করুন। এখানে অবশ্যই মেমো সবোর্চ্চ সাইজ (৩০০*৩০০)১৫০ কিলোবাইট হতে হবে। তারপর নিচের ক্যাপচাটি সঠিকভাবে বসিয়ে দিন এবং ‘সম্পূর্ণ করুন’ অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে ‘আপনার হাউজ ওয়্যারিং সফল ভাবে নিশ্চিত হয়েছে’ লেখাটি চলে আসবে।
এই পদ্ধতি ব্যবহার করে আপনি আপনার নতুন মিটারের আবেদন করে আপনার হাউজ ওয়্যারিংটি অনলাইনে পোস্টিং দিতে পারবেন। তারপর আপনার আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা জানার জন্য এখান থেকে ট্রাকিং নম্বর এবং পিন নম্বরটি বসিয়ে সাবমিট করুন তাহলে আপনার আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা জানতে পারবেন। এই নিয়মটি অনুসরণ করে খুব সহজে নতুন মিটারের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।
অনলাইনে আবেদন পর মিটার অনুসন্ধান করার নিয়ম
আপনাদের ভিতরে অনেকেই আছেন যারা পল্লী বিদ্যুৎ মিটারের জন্য আবেদন করেছেন। তারপর দশটি ধাপ অতিক্রম করার পরে পল্লী বিদ্যুতে মিটার পেয়ে থাকেন। কিন্তু অনেকেই জানেন না কিভাবে আবেদনে সর্বশেষ অবস্থান দেখতে হয়। অথবা আবেদনের কয়টি ধাপ অতিক্রম করেছেন সেটি কিভাবে দেখবেন। চলুন জেনে নি।
এখন আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা জানার জন্য আপনার মোবাইলে থেকে যেকোনো একটি ব্রাউজার ওপেন করুন এবং সার্চবারে www.rebpbs.com লিখে সার্চ করুন। তাহলে আপনাকে পল্লী বিদ্যুতের ওয়েবসাইটে নিয়ে যাবে। এখন ‘আবেদন’ অপশনে কয়েক সেকেন্ড ট্যাপ করে ধরলে অনেকগুলো অপশন দেখতে পাবেন। যেমন:
- আবেদন করুন
- আবেদন পরিবর্তন করুন
- আবেদন ডাউনলোড করুন
- হাউজ ওয়্যারিং নিশ্চিত করুন
- ওয়্যারিং পরিদর্শকদের তালিকা
- আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা জানুন এবং
- অফিস কর্তৃক প্রদত্ত সকল এসএমএস দেখুন
এখন আপনি ‘আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা জানুন’ অপশনে ক্লিক করুন। এখানে প্রত্যেকটি অপশন চেক করার জন্য আপনার আবেদন করার পরে আবেদন পত্রে থাকা ট্রাকিং আইডি এবং পিন নম্বর প্রয়োজন হবে। তাই সেটি নিজের সংগ্রহে রাখুন।
এখন আবেদনপত্রে থাকা ট্রাকিং আইডি এবং পিন নম্বর বসিয়ে ‘সাবমিট করুন’ অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনার আবেদনের সকল তথ্য দেখতে পাবেন এবং আবেদনপত্রের দশটি ধাপের মধ্যে কয়টি ধাপ এবং কি কি ধাপ অতিক্রম করেছেন সেটিও দেখতে পাবেন।
এই নিয়মটি অনুসরণ করে খুব সহজে আপনি পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন অনুসন্ধান এর সর্বশেষ ধাপ চেক করতে পারবেন।
Nesco প্রিপেইড বিল চেক
নতুন মিটারের জন্য অনলাইনে আবেদন করার নিয়ম জেনেছি। এবার Nesco প্রিপেইড বিল চেক করার নিয়ম জানবো। নেসকো প্রিপেইড বিল চেক করার জন্য প্রিপেইড মিটারের ৮০১ লিখে Enter করুন। তাহলে আপনার নেসকো প্রিপেইড মিটার এর অবশিষ্ট ব্যালেন্স দেখতে পাবেন।
নেসকো প্রিপেইড মিটারে রিচার্জ করুন বিকাশে
এ পর্যায়ে দেখুন কিভাবে প্রিপেইড মিটার রিচার্জ করতে হয়। আপনি যদি আপনার NESCO প্রিপেইড মিটার রিচার্জ করতে চান তাহলে প্রথমে আপনাকে যে কাজটি করতে হবে সেটি হলো: মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে আপনাকে একটি টোকেন নিতে হবে। যে টোকেন ব্যবহার করে আপনি আপনার প্রিপেইড মিটার রিচার্জ করতে পারবেন।
টোকেন নেওয়ার জন্য আপনাকে মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করতে হবে। আপনার মোবাইল ব্যাংকিংয়ে যদি ব্যালেন্স থাকে। তাহলে সেই ব্যালেন্স দিয়ে আপনি প্রিপেইড মিটারে রিচার্জ করতে পারবেন।
এক্ষেত্রে আপনি বিকাশ, নগদ এবং উপায় ব্যবহার করে প্রিপেইড মিটারের রিচার্জ করতে পারবেন। এখন আমরা দেখব কিভাবে বিকাশ ব্যবহার করে প্রিপেইড মিটারের রিচার্জ করতে হয়। প্রিপেইড মিটারের রিসার্চ করার জন্য প্রথমেই আপনাকে যে কাজটি করতে হবে সেটি হলো: আপনার প্রিপেইড মিটারের সাথে যে কার্ডটি দেওয়া হয়েছিল সেই কার্ডের নিচে মিটারের নম্বর রয়েছে। এখন এই নম্বরটি ব্যবহার করেই আপনাকে প্রিপেইড রিচার্জ করতে হবে।
প্রিপেইড মিটারের রিচার্জ করার জন্য আপনার মোবাইল ব্যাংকিং বিকাশ অ্যাপের লগইন করুন এবং ভিতরে প্রবেশ করুন। তাহলে আপনার সামনে অনেকগুলো অপশন চলে আসবে। সেখান থেকে ‘pay bill’ অপশনে ক্লিক করুন। তারপর একটু নিচে নামলে ‘electricity’ অপশন দেখতে পাবেন সেখানে ক্লিক করুন। তাহলে বাংলাদেশের সকল বিদ্যুৎ কম্পানির তালিকা গুলো দেখতে পাবেন। যেমন:
- NESCO (Prepaid)
- DESCO (postpaid)
- BPDB (Prepaid)
- BPDB (Prepaid) Sylhet
- BPDB (postpaid)
- Palli bidyut ইত্যাদি।
এখন আপনি NESCO (Prepaid) অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনার সামনে দুটি অপশন চলে আসবে। যেমন:
- Enter meter number
- Enter contact number
এখন আপনার প্রিপেইড মিটারের সাথে থাকা কার্ডের মিটার নম্বরটি প্রথমে বসিয়ে দিন এবং নিচে আপনার সচল মোবাইল নম্বর বসিয়ে ‘next’ অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনাকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাবে। সেখানে আপনাকে amount সিলেক্ট করতে হবে। এখন আপনি কত টাকার রিচার্জ করতে চান সেটি লিখুন। তারপর next অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনার amount এবং account number চলে আসবে। এখন আপনি tap to continue অপশনে ক্লিক করুন।
এখন পরবর্তী অপশনে ‘Account name’ চলে আসবে। অর্থাৎ, যার নামে মিটার রয়েছে সেই ব্যক্তির নাম চলে আসবে। এখন নাম সঠিকভাবে দেখে নিন এবং পিন নম্বর বসিয়ে ট্যাপ করে ধরে রাখুন। তাহলে আপনার প্রিপেইড মিটার রিচার্জ হয়ে যাবে এবং এসএমএস এর মাধ্যমে আপনাকে একটি টোকেন দেওয়া হবে। এখন আপনি এসএমএসটি ওপেন করুন। তাহলে successful! Your NESCO Prepaid token is 2345-5047-3580-1223-2358। অর্থাৎ, এখানে আপনাকে একটি টোকের নম্বর দেওয়া হয়েছে।
এখন এই টোকের নম্বর ব্যবহার করে আপনার প্রিপেইড মিটারের রিচার্জ করতে হবে। এখানে অবশ্যই একটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। প্রিপেইড মিটারে প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ সার্ভিস চার্জ কেটে নেওয়া হবে।
যখন আপনি প্রতি মাসে প্রিপেইড মিটারে রিচার্জ করবেন তখন টোটাল এমাউন্ট থেকে সার্ভিস চার্জ কেটে নেওয়া হবে। এখন প্রিপেইড মিটারের রিচার্জ করার জন্য টোকের নম্বর নিয়ে প্রিপেইড মিটারের কাছে চলে যেতে হবে।
তারপর আপনার টোকেনে থাকা নম্বরটি মিটারে বাটন প্রেস করে টাইপ করুন। এখানে যতগুলো টোকের নম্বর রয়েছে পর্যায়ক্রমে এক এক করে সকল টোকের নম্বর টাইপ করুন। সবগুলো ডিজিট সঠিকভাবে টাইপ করার পরে এন্টার বাটনে প্রেস করুন। তাহলে একটি বিট সাউন্ড হবে এবং আপনার প্রিপেইড মিটারটি রিচার্জ হয়ে যাবে।
এখানে আপনার টোটাল ব্যালেন্স কত টাকা রয়েছে সেটিও দেখতে পারবেন। এই পদ্ধতি ব্যবহার করে আপনি মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে প্রিপেইড মিটারে রিচার্জ করতে পারবেন।
রকেটে Nesco প্রিপেইড বিল পরিশোধ
Nesco প্রিপেইড বিল রকেট পরিশোধ করার জন্য রকেট অ্যাপের লগইন করুন এবং অ্যাপের ভিতরে প্রবেশ করুন। তাহলে আপনার সামনে একটি পেইজ ওপেন হবে এবং সেখানে অনেকগুলো অপশন দেখতে পাবেন। সেখান থেকে আপনি pay bill অপশনে ক্লিক করুন।
তাহলে category (all) নামে একটি অপশন দেখতে পাবেন সেখান ক্লিক করুন। তাহলে অনেক গুলো অপশন চলে আসবে। যেমন:
- B2B Collection
- Bill pay
- Donation
- Education
- General
- Govt.Fees
- Govt.fees
- ISP
- University
- Utility
উপরে উল্লেখিত অপশন গুলো থেকে Utility অপশনে ক্লিক করুন। তারপর একটু স্ক্রোল করে নিচে নামলে NESCO 2997,Utility অপশন দেখতে পাবেন সেখান ক্লিক করুন। তাহলে আপনাকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাবে। সেখানে Biller I’d এবং Biller name দেখতে পাবেন। তারপর নিচে কয়েকটি অপশন পাবেন। যেমন:
- Account number
- Bill month এবং
- Bill year
এখন আপনার বিল কপি থেকে Account number, Bill month এবং Bill year সঠিকভাবে বসিয়ে দিন। তারপর নিচে ‘pay for’ নামে একটি অপশন দেখতে পাবেন। এখানে আপনার রকেট একাউন্ট নম্বর এবং নেসকো একাউন্টের নম্বর এক থাকে তাহলে self অপশনে ক্লিক করুন। অন্যথায় ‘others’ অপশনে ক্লিক করুন।
তারপর নিচে আপনার মোবাইল নম্বরটি বসিয়ে ‘Validate’ অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে info নামে একটি অপশন চলে আসবে এবং টোটাল বিল ও যার নামে নেসকো একাউন্ট রয়েছে সেই ব্যক্তির নাম চলে আসবে। এখন আপনি ‘ok’ অপশনে ক্লিক করুন।
এখন পরবর্তী অপশনে আপনি Biller name, nesco, Bill month, Bill year, amount এবং mobile number দেখতে পাবেন। এখন ভবিষ্যতের বিল পরিশোধ সহজ করার জন্য এবং আপনার একাউন্টি সেভ করার জন্য save this in the my Biller.. অপশনে ‘টিক চিহ্ন’ দিয়ে দিন।
তারপর নিচের অপশনে আপনার ‘Biller short name’ লিখুন। তারপর রকেট একাউন্টের পিন নম্বর বসিয়ে দিন এবং রকেট আইকনে ট্যাপ করে ধরে রাখুন। তাহলে আপনার বিলটি সম্পূর্ণভাবে পরিশোধ হয়ে যাবে এবং আপনার কাছে একটি এসএমএস চলে আসবে। তারপর পূর্বের ন্যায় সেই টকোন নম্বরটি নিয়ে মিটারে টাইপ করে বিল রিচার্জ সম্পন্ন করুন।
নগদে Nesco প্রিপেইড বিল পরিশোধ
Nesco প্রিপেইড বিল নগদে পরিশোধ করার জন্য সর্বপ্রথমে আপনার নগদ অ্যাপে প্রবেশ করুন। তারপর নগদ একাউন্টে লগইন করে ভিতরে প্রবেশ করুন। তাহলে আপনার সামনে নতুন একটি পেইজ চলে আসবে। সেখান থেকে ‘বিল পে’ অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনাকে পরবর্তী অপশনে নিয়ে যাবে।
সেখানে বিদ্যুৎ বিল অথবা ইলেকট্রিক সিটি নামে একটি অপশন দেখতে পাবেন। সেখানে ক্লিক করুন। তারপর আপনার নেসকো প্রিপেইড বিল পরিশোধ করার জন্য ‘Nesco 1041’ অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে দুটি অপশন পেয়ে যাবেন। যেমন:
- কনজিউমার নং এবং
- বিলের মাস বছর
এখন ‘কনজিউমার নং’ অপশনে আপনার বিল কপি থেকে কনজিউমার নম্বরটি সঠিকভাবে বসিয়ে দিন। তারপরে বিলের মাস বছর নির্বাচন করুন এবং পরবর্তী অপশনে ক্লিক করুন। সেখানে আপনি বেশ কয়েকটি অপশন দেখতে পাবেন। যেমন:
- কাস্টমার নাম
- বিল নম্বর
- বিল মাস বছর
- বিল এমাউন্ট
- ভ্যাট এমাউন্ট এবং
- টোটাল এমাউন্ট
তারপর আপনি ‘পরবর্তী’ অপশনে ক্লিক করুন। এখন পরবর্তী অপশনে আপনি টাকার পরিমান এবং চার্জ দেখতে পাবেন। এখানে আপনি নগদ একাউন্টের মাধ্যমে সম্পূর্ণ ফ্রিতে টাকা পরিশোধ করতে পারবেন। আপনার নগদ একাউন্টের পিন নম্বর বসিয়ে ‘পরবর্তী’ অপশনে ক্লিক করুন।
তাহলে পরবর্তী অপশনে আপনি টাকার পরিমান, সর্বমোট টাকার পরিমান এবং নতুন একাউন্ট দেখতে পারবেন। এখন সাকসেসফুল বিল পরিশোধ করার জন্য নগদ আইকনে ট্যাপ করে ধরে রাখুন। তাহলে আপনার বিলটি সাকসেসফুল পরিশোধ হয়ে যাবে এবং আপনার কাছে একটি এসএমএস চলে আসবে।
এখানে আপনাকে একটি বিষয় খেয়াল করতে হবে। আপনি যদি নগদ একাউন্ট থেকে রিচার্জ করেন তাহলে আপনি কোন রিসিভ কপি পাবেন না। অর্থাৎ, আপনি যে এসএমএসটি অথবা নির্দেশনা পাবেন সেটি সংরক্ষণ করে রাখুন। এতে করে পরবর্তী সময়ে আপনার প্রবলেম হলে সেটি ব্যবহার করতে পারবেন।
Nesco প্রিপেইড বিল পরিশোধের উপায়
Nesco প্রিপেইড বিল উপায়ের মাধ্যমে পরিশোধ করার জন্য আপনার উপায় অ্যাপে প্রবেশ করুন এবং উপায় একাউন্ট লগইন করুন। তাহলে আপনার সামনে নতুন একটি পেইজ ওপেন হবে। সেখানে ‘pay bill’ নামে একটি অপশন পেয়ে যাবেন সেখানে ক্লিক করুন। তারপর আপনাকে Bill type সিলেক্ট করতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, electricity সিলেক্ট করুন। অর্থাৎ, Nesco Prepaid নির্বাচন করুন। তারপর আপনার ‘customer number’ লিখুন।
এখানে ‘customer number’ টি আপনার বিল কপি ভিতরে পেয়ে যাবেন। এখন আপনার মোবাইল নম্বর বসিয়ে দিন। তারপর আপনি কত টাকা রিচার্জ করতে চাচ্ছেন সেটি বসিয়ে দিন। এখানে আপনার ভ্যাট কত টাকা কাটবে সেটিও দেখতে পারবেন। এখন আপনি ‘pay now’ অপশনে ক্লিক করুন। তারপর আপনার উপায় একাউন্ট এর পিন নম্বর বসিয়ে দিন। তাহলে আপনার প্রিপেইড মিটারের রিচার্জ সম্পূর্ণ হবে।আশাকরি, নতুন মিটারের জন্য অনলাইনে আবেদন করার নিয়ম সহ বিস্তারিতি তথ্য জানতে পেরেছেন।
আরো জানুনঃ
DESCO বিদ্যুৎ বিল চেক ও পরিশোধের নিয়ম।
অনলাইনে গ্যাস বিল চেক করুন খুব সহজে।