ফ্রিতে নিয়ে নেন ইন্টারন্যাশনাল ভার্চুয়াল ভিসা বা মাস্টার কার্ড।

শেয়ার করুন

আমরা যারা ফ্রিল্যান্সিং করছি অথবা ফ্রিল্যান্সিং এর সাথে জড়িত বেশিরভাগ সময় তাদের একটি ইন্টারন্যাশনাল ভার্চুয়াল ভিসা বা মাস্টার কার্ড প্রয়োজন হতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশের টার্মস এন্ড কন্ডিশন অনুযায়ী একজন সাধারণ ব্যক্তির পক্ষে এই কার্ডটি সংগ্রহ করা অনেকটা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে।

শুধু যে একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকলে আপনি ভিসা বা মাস্টার কার্ড সংগ্রহ করতে পারেন বিষয়টা তা নয়। বরং ভিসা বা মাস্টার কার্ড পেতে হলে অবশ্যই আপনার একটি বৈধ পাসপোর্ট এর প্রয়োজন হবে। তবেই আপনি একটি আন্তর্জাতিক ভিসা বা মাস্টার কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন।

কিন্তু যারা স্টুডেন্ট অথবা বেকার বা যাদের আর্থিক অসচ্ছলতা, তাদের ক্ষেত্রে একটি আন্তর্জাতিক ভার্চুয়াল ভিসা বা মাস্টার কার্ড সংগ্রহ করা অনেকটা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে।

তাই তাদের কথা ভেবে আজ আমি এমন একটা উপায় নিয়ে চলে আসলাম, যেটি অনুসরণ করে আপনি খুব সহজেই সম্পূর্ণ বিনামূল্যে একটি আন্তর্জাতিক মানের ভার্চুয়াল ভিসা বা মাস্টার কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন এবং এই কার্ডটি দিয়ে আপনি Youtube, Facebook অথবা ওয়েবসাইট বুস্টিং, ডোমেইন হোস্টিং ক্রয়, ফাইবার, অফওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সারসহ যে কোন মার্কেটপ্লেস থেকে টাকা তোলা এবং ডিপোজিটসহ যেকোনো ধরনের কাজ করতে পারবেন। তো চলুন জেনে নি।

যেভাবে ভার্চুয়াল ভিসা বা মাস্টার কার্ড সংগ্রহ করবেন:

যদিও আপনি ফেসবুক সহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে লোভনীয় বিজ্ঞপ্তি দেখতে পাবেন যে, মাত্র ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা একটি ভার্চুয়াল ভিসা ক্রয় করা যায়। বেশিরভাগ সময়ে আপনি এসব বিজ্ঞপ্তি দেখে প্রাথমিক পর্যায়ে তাদের কথা সত্য বলে ভেবে থাকবেন। কিন্তু এ ধরনের প্রতারক চক্র আপনার টাকা লুণ্ঠন, আর্তসাদ এবং আপনার তথ্যের ক্ষতি করতে ব্যতিব্যস্ত থাকে। যা আপনার জন্য কখনও ভালো নয়।

যদিও মাঝে মাঝে দু একটা নাম করা প্রতিষ্ঠান এসব সার্ভিস দিয়ে থাকে। কিন্তু তাদের থেকেও এসব ভার্চুয়াল ভিসা বা মাস্টার কার্ড নিলে আপনি পড়ে যেতে পারেন অনেক বড় বিপদে।

আরোও পড়ুনঃ অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন করার নিয়ম বা জন্ম নিবন্ধনের অবস্থা যাচাই ।

অথবা এ ধরনের ভার্চুয়াল ভিসা বা মাস্টার কার্ড বৈধভাবে বাংলাদেশে ইউজ করার যোগ্য না। যার কারণে যেকোনো সময় এসব কার্ড বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তাই এসব লোভনীয় বিজ্ঞপ্তি দেখে প্রতারিত না হয়ে, আসুন জেনে নেই কিভাবে সঠিক উপায়ে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য দিয়ে একটি ভার্চুয়াল ভিসা কার্ড সংগ্রহ করতে পারেন।

ভিসা বা মাস্টার কার্ড তৈরি প্রক্রিয়া:

আপনি যদি ব্যাংকিং ঝামেলা ছাড়াই একটি ভার্চুয়াল ভিসা কার্ড নিতে চান তাহলে প্রথমে আপনাকে পেওনিয়ারে একটি একাউন্ট করতে হবে। কিভাবে একাউন্ট করবেন জানতে পড়ে আসুন এই পোস্টি । 

আপনার ব্যক্তিগত তথ্য ও NID দিয়ে একটি ভেরিফাইড পেওনিয়ার একাউন্ট তৈরি করার পর এবারে নজর দিন কিভাবে মার্কেটপ্লেস থেকে টাকা আয় করা যায়। যেমন ধরুণ ফাইবার, পিপলপার হাওয়া, আপওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সার ইত্যাদি। এসব মার্কেট প্লেস থেকে আপনি যদি সর্বনিম্ম ১০০$ পর্যন্ত আপনার পেওনিয়ার একাউন্টে নিয়ে আসতে পারেন। তবেই আপনি ফ্রিতে একটি ভার্চুয়াল মাস্টার কার্ড অর্ডার করার সুযোগ পাবেন।

কিছু দিন পূর্বেও একাউন্ট করার সাথে সাথে পেওনিয়ার কোম্পানি তার ব্যবহারকারীদের কোন রকম শর্তসাপেক্ষ ফ্রিতে একটি ভার্চুয়াল মাস্টার কার্ড দিয়ে আসছে। কিন্তু বর্তমানে যদিও এই কার্ডটি ফ্রি কিন্তু আর জন্য শর্ত হলো যেকোন মার্কেটপ্লেস থেকে ১০০$ সমপরিমান টাকা পেওনিয়ারে লোড করে নিতে হবে।

পেওনিয়ার মাস্টার কার্ড পেতে যেই বিষয় গুলোতে নজর দিবেন

পেওনিয়ার যেহেতু একটি গ্লোবাল প্রতিষ্ঠান তাই এখানে অর্থ লেনদেন বা কার্ড সংগ্রহ করতে সামান্য কিছু ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশনের প্রয়োজন হতে পারে। আপনি যদি উক্ত ডকুমেন্ট গুলো ভালোভাবে প্রদর্শন কারাতে পারেন। তাহলে খুব সহজে এই ভার্চুয়াল কার্ডটি সংগ্রহ করতে পারবেন যেমনঃ

যার নামে পেওনিয়ার একাউন্ট করবেন তার একটি স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র। উক্ত ব্যক্তির নামে যেকোন ব্যাংকে সেভিং একাউন্ট ও কারেন্ট বিল এবং বিকাশ একাউন্ট অর্থাৎ আপনার পিতা বা মাতা যার নামে একটি NID কার্ড, ব্যাংক একাউন্ট, বিদ্যুৎ বিল ও বিকাশ একাউন্ট থাকতে হবে। তার নামে পেওনিয়ারে একাউন্ট করলে কার্ড পেতে কোন সমস্যা হবে না।

পেওনিয়ার কার্ডের সুবিধা ও অসুবিধা সমূহ:

পেওনিয়ার তার ব্যবহারকারীদের দুই ধরনের কার্ড সার্ভিস প্রদান করে একটি ফিজিক্যাল এবং অপরটি ভার্চুয়াল। আপনি চাইলে একটি একাউন্ট থেকে ফিজিক্যাল প্লাস্টিক মাস্টার কার্ড অথবা ভার্চুয়াল মাস্টার কার্ড অর্ডার করতে পারবেন।

এই কার্ডটি ব্যবহারের অনেকগুলো সুবিধা ও অসুবিধা রয়েছে যা নিম্নে বর্ণনা করা হলোঃ

সুবিধা সমূহ:

  • কার্ডটি সম্পূর্ণ ফ্রি ।
  • যেকোন জায়গায় ব্যবহার যোগ্য ।
  • কার্ড হারিয়ে গেলে বা চুরি হলে উত্তোলনের ব্যবস্থা
  • কার্ড রিনিউ সুবিধা
  • সর্বোচ্চ সিকিউরিটির ব্যবস্থা ।
  • কার্ড থেকে বিকাশ বা উপায়ে টাকা উঠানো যায়।
  • যেকোন ATM এ ব্যবহার যোগ্য ইত্যাদি।

অসুবিধা সমূহ:

  • বাৎসরিক চার্জ ৩০$
  • কিছু কিছু প্লাটফর্ম এ কাজ করে না

পেওনিয়ার সম্পর্কিত প্রশ্নবলীঃ

  • প্রশ্নঃ পেওনিয়ার কার্ডটি পেতে কতদিন সময় লাগবে?
  • উত্তরঃ সর্বনিম্ম ৩ দিন থেকে সর্বোচ্চ ৩০ দিন
  • প্রশ্নঃ কার্ড থেকে ATM টাকা তুলা যায়?
  • উত্তরঃ হ্যাঁ, যেকোন ATM থেকে
  • প্রশ্নঃ পেওনিয়ার থেকে বিকাশে টাকা তোলা যায়?
  •  উত্তর: হ্যাঁ, বিকাশ ও উপায় একাউন্টে টাকা তোলা যাবে।
  • প্রশ্নঃ পেওনিয়ার টু পেওনিয়ার টাকা লেনদেন করা যায়?
  • উত্তরঃ হ্যাঁ, যায়।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *