সুইজারল্যান্ড কাজের ভিসা বিস্তারিত।
সুইজারল্যান্ড কাজের ভিসা কিভাবে পাবেন। কত টাকা Salary, কোন কাজের চাহিদা বেশি ও সুইজারল্যান্ড যেতে কত টাকা খরচ হবে বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ন আর্টিকেলটি পড়ার অনুরোধ রইল।
সুইজারল্যান্ড কাজের ভিসা
ইউরোপ মহাদেশের একটি দেশ হল সুইস বা সুইজারল্যান্ড। যদিও এটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য রাষ্ট্র নয়। সুইজারল্যান্ড এর রাজধানী বের্ন এবং এর সরকারি মুদ্রার নাম সুইস ফ্রাংক। ইউরোপীয় উন্নত জীবনযাত্রা ও অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতার কারণে শ্রমিকদের ভালো অর্থ প্রদান করা হয় বলে এশিয়ান মানুষদের নিকট ইউরোপী দেশ গুলো অত্যাধিক পছন্দের হয়ে থাকে।
প্রতিনিয়ত বাংলাদেশ, ইন্ডিয়ান, নেপাল, বাহরাইন, ভুটান ইত্যাদি দেশের মানুষেরা কাজ, পড়ালেখা কিংবা ব্যবসা-বাণিজ্যসহ নানা প্রয়োজনে ইউরোপের দেশে গুলাতে ভ্রমণ করে থাকেন। আজকের পোস্টে ইউরোপীয় দেশ সুইজারল্যান্ড কাজের ভিসা কিভাবে পাবেন। কত টাকা Salary পাবেন, কোন কাজের চাহিদা বেশি ও সুইজারল্যান্ড যেতে কত টাকা খরচ হবে। এসব বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
সুইজারল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা কিভাবে পাবেন
সাধারণত, সুইজারল্যান্ডে ৩ ধরণের মানুষ ভিসা পেয়ে থাকে।
- ইউএ (ইউরোপীয় ইউনিয়ন)।
- নন ইউএ (নন ইউরোপীয় ইউনিয়ন)।
- থার্ড কার্ন্টি (বাংলাদেশ, ইন্ডিয়ান নেপাল, শ্রীলংকা ইত্যাদি)।
সুইজারল্যান্ড উন্নতশীল হওয়ায় এখানে চাইলে যেকেউ প্রবেশ করতে পারবে না। সুইজারল্যান্ড সরকার বর্তমানে বাংলাদেশ, ইন্ডিয়া ও অন্যান্য দেশ থেকে সরাসরি ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় প্রবেশ বন্ধ রেখেছেন। আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে সুইজারল্যান্ড কাজের ভিসা আসতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার যেকোন কাজের দক্ষতা থাকতে হবে। দক্ষতা ছাড়া কেউ সুইজারল্যান্ডে আসতে পারবে না।
যেহেতু সরাসরি সুইজারল্যান্ড কাজের ভিসায় আসা সম্ভব না। তাই সুইজারল্যান্ডে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় আসার জন্য ফ্যামিলি ভিসায় আসতে হবে। আপনি যদি সুইজারল্যান্ডে আসতে চান তাহলে প্রথমে অনলাইনে সুইজানল্যান্ডের জব ওয়েবসাইট গুলোতে ঢুকে যেকোন একটি কাজ ম্যানেজ করতে হবে। তারপর ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। এছাড়াও বাংলাদেশ ও ইন্ডিয়া থেকে সরাসরি বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে সুইজারল্যান্ড কাজের ভিসা পেতে পারেন।
সুইজারল্যান্ড কাজের ভিসা পেতে কি কি লাগবে
সুইজারল্যান্ড কাজের ভিসা পেতে কিছু ডকুমেন্ট প্রয়োজন হবে যেগুলো নিম্নে বর্ণনা করা হলো:
- ৬ মাস মেয়াদি Valid পাসপোর্ট।
- শিক্ষগত যোগ্যতার সনদ।
- জাতীয় পরিচয়পত্র।
- ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা সনদ।
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট।
- সুইস ভিসা প্রদানের রশিদ।
- সুইজারল্যান্ডে আবাসিক থাকার প্রমাণপত্র।
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্সি সার্টিফিকেট।
- পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি ছবি।
- চিকিৎসা বীমা।
- সুইস কভার লেটার।
- কাজের দক্ষতা প্রমাণপত্র বা সার্টিফিকেট ইত্যাদি।
সুইজারল্যান্ড কাজের ভিসা খরচ
বাংলাদেশ থেকে কাজের ভিসায় বা ভ্রমণের জন্য অনেকে সুইজারল্যান্ডে যেতে চান। তাই সুইজারল্যান্ডে যাতায়ত খরচ সম্পর্কে জানা জরুরি হয়ে পড়ে। আমাদের আলোচনার মাধ্যমে সুইজারল্যান্ডের যাতায়াত খরচ বর্ণনা করা হলো। সুইজারল্যান্ড একটি উন্নতশীল রাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশ হওয়ায় এখানে ভ্রমণের জন্য আপনাকে অনেক বেশি টাকা খরচ করতে হবে।
কিন্তু আপনি যদি সরকারি ভাবে সুইজারল্যান্ড ভিসা পান তাহলে এক্ষেত্রে কিছুটা কম খরচে সুইজারল্যান্ডে যেতে পারবেন। সরকারি ভাবে সুইজারল্যান্ড যেতে ৮ থেকে ৯ লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে। আপনি যদি কোন দালাল বা এজেন্সির সাহায্যে সুইজারল্যান্ড যেতে চান তাহলে একটু বেশি টাকা খরচ হতে পারে। এজেন্সির সাহায্যে সুইজারল্যান্ড যেতে ১৩ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লাগতে পারে।
সুইজারল্যান্ড বেতন কেমন
আপনি যেহেতু ১০ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা খরচ করে সুইজারল্যান্ড যাচ্ছেন। সেক্ষেত্রে সুইজারল্যান্ড আপনার মাসিক ইনকাম কত সেই বিষয়ে জানা জরুরি। karpeo.ch এর তথ্য অনুযায়ী সুইজারল্যান্ডের মিনিমাম সেলারি ৪,৪২৬ সুইস ফ্রাংক এবং সরকারি ট্যাক্স প্রদানের পর সর্বনিম্ম ৩,৭৫০ সুইস ফ্রাংক বেতন দেওয়া হয় যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৪,৭৪,৭৯০.৪২ টাকা।
সুইজারল্যান্ড কোন কাজের চাহিদা বেশি
সুইজারল্যান্ডে যেসব কাজের চাহিদা বেশি রয়েছে সেগুলো হলো:
- হোটেল
- শেফ
- ক্লিনার
- ড্রাইভিং
- বিশেষজ্ঞ
- সিভিল
- ওয়েল্ডার
- ইঞ্জিনিয়ারিং
- আতিথিয়তা বা গৃহস্থলী কাজ ইত্যাদি।
আশা করি আর্টিকেলটি পড়ে সুইজারল্যান্ড কাজের ভিসা পাওয়ার উপায়, সুইজারল্যান্ডের সর্বনিম্ম বেতন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এরকম আরোও গুরুত্বপূর্ণ কনটেন্ট পেতে চোখ রাখুন আমাদের ওয়েবসাইটে।
আরো জানুনঃ
সৌদি আরব সুপার মার্কেট ভিসা বিস্তারিত।