ফিনল্যান্ড কাজের ভিসা আবেদন-২০২৪

শেয়ার করুন

ফিনল্যান্ড কাজের ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া। কিভাবে ভিসা পাবেন। ফিনল্যান্ড কাজের ভিসা পাওয়ার উপায়, কি কি ডকুমেন্ট লাগবে এ সকল বিষয়ে আলোচনা করা হবে আজকের পোস্টে। তাই সম্পূর্ণ পোস্টটি ধৈর্য সহকারে পড়ার অনুরোধ রইল।

ফিনল্যান্ড কাজের ভিসা আবেদন

গেল বছর ফিনল্যান্ড সরকার সমগ্র বিশ্বব্যাপী  ৬০ হাজার দক্ষ ও অদক্ষ বিদেশি কর্মী নিয়োগ দেওয়ার ঘোষণা করেন। যা শুনে আমরা অনেকে ফিনল্যান্ড কাজের ভিসা বা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করেছি। কিন্তু সঠিক পদ্ধতিতে আবেদন না করার কারণে অনেকের ভিসা আবেদন শুরুতেই বাতিল হয়ে গেছে। তাই আজকের পোস্টে আমরা সঠিক পদ্ধতিতে ফিনল্যান্ড কাজের ভিসা আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।

একই সাথে আলোচনা করব কিভাবে কোন প্রকার দালালের সাহায্য ছাড়াই নিজে নিজে ফিনল্যান্ড ভিসা প্রসেসিং করবেন বা ফিনল্যান্ড যেতে পারবেন। ফিনল্যান্ড ইউরোপের একটি রাষ্ট্র এবং এখানকার মানুষের উন্নত জীবন ব্যবস্থার জন্য ফিনল্যান্ডকে পৃথিবির সবচেয়ে সুখী দেশ স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। ফিনল্যান্ডে কাজের চাহিদার পাশাপাশি প্রচুর বেতন পাওয়া যায় বলে অনেকের পছন্দের প্রথম তালিকায় রয়েছে ফিনল্যান্ড।

ফিনল্যান্ড কাজের ভিসা আবেদন কারার জন্য শুরুতে যেসব বিষয় জানতে হবে। তাহলো ফিনল্যান্ডে দুই ধরনের ভিসায় কর্মী নিয়োগ দিয়ে হয়। ১/ দক্ষ ও ২/ অদক্ষ। অদক্ষ ভিসায় যেসব ক্যাটাগোরিত কর্মী নিয়োগ দেওয়া হয় তাহলো:

  • নির্মাণ কর্মী
  • পরিচ্ছনতা কর্মী
  • ওয়্যারহাউস কর্মী
  • কিচেন হেল্পার
  • বাবুর্চি
  • রাঁধুনি
  • সহকারী রাঁধুনি
  • পাইপ ফিটার
  • নিশ ওয়াশার
  • মেকানিক ইত্যাদি

ফিনল্যান্ড উন্নতশীল দেশ হওয়ায় ফিনল্যান্ডের কর্মীরা এসব কাজে আগ্রহ প্রকাশ করে না। যার ফলে এ সকল কাজের প্রায় সময় কর্মী সংকট দেখা দেয়। তাই ফিনল্যান্ড সরকার এসব কাজের জন্য প্রতিবছর হাজার হাজার বিদেশি শ্রমীক নিয়োগ দিয়ে থাকেন। তাই আপনার যারা ইউরোপের দেশ ফিনল্যান্ড যেতে আগ্রহী তারা এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ফিনল্যান্ড যেতে পারবেন।

ফিনল্যান্ড যাওয়ার জন্য কোন ধরনের এজেন্সি বা দালালের শরণাপন্ন না হওয়াই ভালো। কেননা কোন এজেন্সি বা দালাল ফিনল্যান্ড ভিসায় ১০০% নিশ্চয়তা দিতে পারবে না। তাই ভিসা মেনেজমেন্ট নিজে নিজে করায় ভালো হবে। আর এর জন্য প্রথমে ফিনল্যান্ডের একটি কম্পানিকে খুঁজে বের করুন। তারপর সেই কম্পানিকে প্রফেশনাল ইউরোপ ফরমেট CV ও Cover letter পাঠাতে হবে।

ওয়ার্ক পারমিট দেয়ে এমন ইউরোপের কম্পানিদের খুঁজে পাওয়ার জন্য এখানে ক্লিক করুন। তাহলে আপনি ইউরোপের সরকারি জব মার্কেটপ্লেসে পৌঁছে যাবেন। সাইটে আসার পর Allow বাটনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনার সামনে এরকম একটি পেইজ শো করবে।

ফিনল্যান্ড কাজের ভিসা আবেদন

এখন Write বক্সে আপনি যে কাজের ভিসায় যেতে চান সেটি লিখে সার্চ করুন। অথবা Choose occupational groups থেকে আপনার জবটি বেছে নিন। তারপর Show jobs অপশনে ক্লিক করলে আপনি অনেক গুলো কাজ ও কম্পানিকে পেয়ে যাবেন। সেখান থেকে যেকোন কম্পানির নামের উপর ক্লিক করুন। তারপর একটু নিচে গেলে কম্পানি কনটাক্ট ডিটেলস  গুলো পেয়ে যাবেন। সেখান থেকে মেইল সংগ্রহ করে CV ও cover letter পাঠান।

পরবর্তীতে কম্পানি আপনার সকল তথ্য ও যাচাই পূর্বক আপনাকে ওয়ার্ক পারমিট দিয়ে দিবে। তবে কম্পানি নির্বাচনের ক্ষেত্রে আপনি কারো রেফারেন্স নিতে পারলে খুব সহজে ওয়ার্ক পারমিট পেয়ে যাবেন। ওয়ার্ক পারমিট পাওয়ার পর ভারতের ফিনল্যান্ড এম্বাসিতে গিয়ে ভিসা আবেদন করতে হবে।

ফিনল্যান্ড কাজের ভিসা সুবিধা সমূহ

ফিনল্যান্ড কাজের ভিসা আবেদন সম্পর্কে জেনেছি এবার কাজের সুবিধা দেখে নেই। ফিনল্যান্ড ওর্য়াক পারমিট ভিসায় আসা কর্মীরা সবচেয়ে বড় যে সুযোগ পেয়ে থাকে তাহলো: এখানকার একজন অদক্ষ কর্মীর মাসিক বেতন প্রায় ২,০০০ থেকে ৩,০০০ ইউরো। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ২ থেকে ৩ লক্ষ টাকা। এছাড়াও অধিকাংশ সময় থাকা ও খাওয়ার খরচ কোম্পানি বহন করে থাকে। ফিনল্যান্ড এর আরেকটি সুবিধা হলো এখানে আসা কর্মীরা ৩ থেকে ৬ মাসের মধ্যে TR পেয়ে যাবেন এবং ৫ বছর পর পার্মানেন্ট রেসিডেন্স বা নাগরিকত্ব পেয়ে যাবেন।

ফিনল্যান্ডের কর্মীদের আরেকটি সুবিধা হলো এখানে কর্মীদের সপ্তাহে ৬ দিন ৮ ঘন্টা করে ডিউটি করতে হয়। তবে ডিউটি শেষে রয়েছে ওভার টাইম করে বাড়তি ইনকামের সুযোগ।

আশাকরি, আর্টিকেলটি পড়ে আপনি ফিনল্যান্ড কাজের ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া সহ বিস্তারিত তথ্য গুলো জানতে পেরেছেন। এরকম গুরুত্বপূর্ণ কনটেন্ট পেতে চোখ রাখুন Onlinesheba24 ওয়েবসাইটে।

আরো পড়ুনঃ

বুলগেরিয়া কাজের ভিসা ও বেতন কত-২০২৪

সুইজারল্যান্ড কাজের ভিসা বিস্তারিত।

ফ্রান্স ওয়ার্ক পারমিট ভিসা।

 

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *