জিপিএফ ব্যালেন্স চেক খুব সহজে। GPF Balance Check
জিপিএফ ব্যালেন্স চেকঃ যারা সরকারি চাকুরী করেন তাদের প্রতি বছর জুলাই মাসের পর জিপিএফ ব্যালেন্স চেক করতে হয়। সরকারি কর্মচারীদের প্রতি মাসে বেসিক বেতনের একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা GPF ফান্ডে জমা রাখতে হয়। এটির পরিমাণ সর্বনিম্ন বেসিক বেতনের ৫% এবং সর্বোচ্চ ২৫% । আপনি চাইলে সর্বনিম্ন ৫% এবং সর্বোচ্চ বেসিক বেতনের ২৫% রাখতে পারবেন।
জমাকৃত জিপিএফ ফান্ডের লাভের হার সর্বোচ্চ ১৩% দিয়ে থাকে। GPF এর হিসাব দেখার/জিপিএফ ব্যালেন্স চেক এর জন্য পূর্বে আমাদের উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসে যেতে হতো। বর্তমানে আপনার হাতে থাকা স্মার্ট মোবাইল দিয়ে পৃথিবীর যেকোন প্রান্ত থেকে অনায়াসে/অল্প সময়ে আপনি আপনার জিপিএফ ব্যালেন্স দেখতে পারেন।
আমাদের ভিতরে অনেকেই আছেন যারা জিপিএফ ব্যালেন্স চেক কিভাবে দেখতে হয় সেটা জানেন না। ফলে অন্যের উপর নির্ভর করতে হয়। আজ আমি আপনাদের দেখাবো কিভাবে খুব অল্প সময়ে হাতে থাকা স্মার্ট মোবাইল অথবা ল্যাপটপ দিয়ে আপনার জিভিএফ এর ব্যালেন্স দেখতে পাবেন। চলুন দেখে নেয়া যাক।
জিপিএফ ব্যালেন্স চেক করার নিয়ম
- প্রথমে মোবাইল অথবা ল্যাপটপে ইন্টারনেট সংযোগ দিন। গুগল ক্রোমো ব্রাউজার ওপেন করে সার্চবারে www.cafopfm.gov.bd এই ঠিকানাটা লিখে ইন্টার বাটনে একটি চাপ দিন। সরাসরি ওয়েবসাইটে ঢুকতে এখানে ক্লিক করুন।
- এই পেজে GPF Information এর নিচে Click Here এ ক্লিক করুন। নিচের পেজটি দেখতে পাবেন।

- এখানে প্রথম ঘরে ১৭ ডিজিটের NID কার্ডের নাম্বার/ ১০ ডিজিটের SMART Card এর নাম্বার লিখুন।
- নিচের ঘরে আপনার মোবাইল নাম্বার লিখুন। (Pay Fixation এ প্রদত্ত মোবাইল নং দিতে হবে)
- Submit বাটনে ক্লিক করুন।
- স্কিনে Employee Verification একটি বক্স আসবে। এই বক্সে আপনার মোবাইলে SMS এ যাওয়া OTP কোর্ডটি লিখে Submit বাটনে ক্লিক করুন।
- নিচের পেজটি দেখতে পাবেন।
- এই পেজে GPF ACCOUNTS SLIP অপশন থেকে আপনি যে বছরের হিসাব দেখতে চান সেই বছরটি সিলেক্ট করুন।
- এবার GO বাটনে ক্লিক করুন।
- পরের পেজেই আপনি আপনার জিপিএফ ব্যালেন্স চেক সহ GPF এর সকল তথ্য দেখতে পাবেন।
এখন আপনি চাইলে উপরের ডান পাশে থাকা সেভ বাটনে ক্লিক করে পেজটি সেভ করতে পারেন। সরাসরি প্রিন্ট করতে চাইলে প্রিন্ট অপশনে ক্লিক করুন।
জিপিএফ ব্যালেন্স চেক কেন করবেন?
আমরা আগে জেনেছি প্রতিমাসে প্রত্যেকটি সরকারি কর্মচারী প্রতিমাসে বেসিকের সর্বনিম্ন ৫% এবং সর্বোচ্চ ২৫% জিপিএফ কর্তন করে থাকেন। বছর শেষে জিপিএফ কর্তনের টাকা মোট টাকার সাথে সঠিকভাবে জমা হয়েছে কিনা সেটা জানা খুব জরুরী।যদি কোথাও গরমিল দেখা যায় সে ক্ষেত্রে দ্রুত নিকটতম হিসাব রক্ষণ অফিসে যোগাযোগ করে সমস্যাগুলোর সমাধান করা যায়। এছাড়াও বাৎসরিক লাভের টাকা মূল টাকার সাথে জমা হয়েছে কিনা সেটাও দেখে নেয়া যায়। মোটকথা অনলাইনে জিপিএফ ব্যালেন্স চেক করে কোথাও কোন গরমিল পরিলক্ষিত হলে সেটা দ্রুত সমাধান করা যায়।
জিপিএফ থেকে লোন নেয়ার উপায়।
অর্থের প্রয়োজন হলে আপনি যেকোনো সময়ে জিপিএফ ব্যালেন্স থেকে ফেরত যোগ্য অথবা অফারের যোগ্য লোন নিতে পারবেন। সাধারণত চাকরির শেষ সময়ের দিকে অনেকেই অফেরতযোগ্য লোন নিয়ে থাকেন। ফেরতযোগ্য লোন এর জন্য বেতন থেকে কোন টাকা কর্তন করা হয় না। অপরের দিকে ফেরত যোগ্য লোন নিলে প্রতিমাসের বেতন থেকে হিসাব করে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা কেটে নেওয়া হয়। এই জিপিএফ লোনের টাকা ১২ কিস্তি/ ২৪ কিস্তি ৩৬/ কিস্তি অথবা ৪৮ কিস্তিতে শোধ করা যায়।
জিপিএফ থেকে কত টাকা লোন নেয়া যায়?
জিপিএফ লোনের ক্ষেত্রে আপনি আপনার জমানো টাকার সর্বোচ্চ ৭৫%পর্যন্ত লোন নিতে পারবেন।হ্যাঁ, তবে আপনার যদি বেশি টাকা না লাগে সেক্ষেত্রে আপনি আপনার প্রয়োজন মতো টাকা লোন নিতে পারবেন।
উদাহরণঃ
ধরে নিন, আপনার জিপিএফ একাউন্টে ১০ লক্ষ টাকা জমা আছে। আপনি লোন নিতে ইচ্ছুক। এক্ষেত্রে আপনি আপনার জমানো টাকার ৭৫% অর্থাৎ ৭,৫০,০০০ টাকা লোন নিতে পারবেন। এই লোনের টাকা আপনি সর্বনিম্ন ১২ কিস্তিতে এবং সর্বোচ্চ ৪৮ কিস্তিতে পরিশোধ করতে পারবেন।
শেষ কথাঃ
সরকারি কর্মচারীদের প্রতি বছর জিপিএফ ফান্ডের হিসাব দেখা জরুরী। হিসাবের কোনরকম গরমিল দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে হিসাব রক্ষণ অফিসে যোগাযোগ করে ঠিক করে নেওয়া উচিত। যেহেতু প্রতি বছর এই হিসাবটি দেখা প্রয়োজন তাই আমার এই পোস্টটি পড়ে নির্দেশনা অনুসারে আপনার জিপিএফ ফান্ডের হিসাব মিলিয়ে নিতে পারেন। পোস্টটি ভালো লাগলে বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ।
আরো জানুনঃ
ইনক্রিমেন্ট কি? ইনক্রিমেন্ট দেখার নিয়ম।
নগদ একাউন্ট কিভাবে খুলতে হয় জেনে নিন সহজে।
I want to see my gpf balance
Please follow the post-instruction