ডিপিএস করতে কি কি লাগে জেনে নিন।
আপনি কি ডিপিএস (DPS) করতে আগ্রহী? ডিপিএস করার কথা ভাবছেন কিন্তু কি কি কাগজপত্র লাগবে, কোথায় যাবেন, কিভাবে শুরু করবেন এই সব নিয়ে চিন্তিত? তাহলে এই ব্লগ পোস্টটি আপনার জন্য। এখানে ডিপিএস করার খুঁটিনাটি সবকিছু সহজ ভাষায় আলোচনা করা হবে।
ডিপিএস (DPS) কি, কেন করবেন, এবং ডিপিএস করতে কি কি লাগে তার একটি পূর্ণাঙ্গ গাইডলাইন এখানে দেওয়া হলো।
ডিপিএস (DPS) কি?
ডিপিএস-এর পূর্ণরূপ হলো ডিপোজিট পেনশন স্কিম (Deposit Pension Scheme)। এটি একটি বিশেষ সঞ্চয় হিসাব যেখানে আপনি প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমা রাখেন এবং মেয়াদ শেষে একটি ভালো অঙ্কের টাকা পান।
সাধারণত, ডিপিএস একটি নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য করা হয়, যেমন ৫ বছর, ১০ বছর বা তারও বেশি। মেয়াদ শেষে আপনি জমাকৃত টাকার উপর সুদসহ একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ ফেরত পান। এটি আপনার ভবিষ্যৎ জীবনের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।
ডিপিএস খোলার নিয়ম
ডিপিএস খোলা খুব সহজ। কয়েকটি সাধারণ নিয়ম অনুসরণ করে আপনি সহজেই ডিপিএস খুলতে পারেন।
- প্রথমে আপনাকে একটি ভালো ব্যাংক নির্বাচন করতে হবে, যেখানে ডিপিএস-এর সুবিধা আছে।
- ব্যাংকের শাখা থেকে ডিপিএস-এর আবেদন ফর্ম সংগ্রহ করুন।
- সঠিকভাবে ফর্মটি পূরণ করুন এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যোগ করুন।
- ফর্মটি ব্যাংকে জমা দিন এবং প্রথম কিস্তির টাকা পরিশোধ করুন।
- টাকা জমা দেওয়ার পর রসিদ সংগ্রহ করতে ভুলবেন না।
ডিপিএস এর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
ডিপিএস খোলার জন্য কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লাগে। নিচে এর একটি তালিকা দেওয়া হলো-
- আবেদন ফর্মঃ ব্যাংক থেকে সংগ্রহ করা আবেদন ফর্মটি সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে।
- পরিচয়পত্রঃ জাতীয় পরিচয়পত্র (NID), পাসপোর্ট অথবা জন্ম সনদের কপি লাগবে।
- ছবিঃ পাসপোর্ট সাইজের দুই থেকে তিন কপি ছবি প্রয়োজন হবে।
- ঠিকানার প্রমাণঃ ইউটিলিটি বিল (যেমন—বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল) অথবা ভোটার আইডি কার্ডের কপি।
- নমিনিঃ নমিনির পরিচয়পত্র ও ছবি।
- TIN সার্টিফিকেটঃ ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (TIN) সার্টিফিকেটের কপি (যদি থাকে)।
সেরা ডিপিএস স্কিম
বর্তমানে বিভিন্ন ব্যাংক বিভিন্ন ধরনের ডিপিএস স্কিম অফার করছে। আপনার জন্য সেরা স্কিমটি খুঁজে বের করতে কয়েকটি বিষয় বিবেচনা করতে পারেনঃ
- লাভের হারঃ কোন ব্যাংক বেশি সুদ দিচ্ছে, তা জেনে নিন।
- মেয়াদঃ আপনার জন্য উপযুক্ত মেয়াদ নির্বাচন করুন।
- মাসিক কিস্তিঃ আপনার সাধ্যের মধ্যে মাসিক কিস্তি নির্ধারণ করুন।
- অন্যান্য সুবিধাঃ কিছু স্কিমে অতিরিক্ত সুবিধা থাকে, যেমন—বীমা কভারেজ বা ঋণ সুবিধা।
বিভিন্ন ব্যাংক তাদের ডিপিএস স্কিমের উপর বিভিন্ন হারে সুদ প্রদান করে থাকে। এখানে কয়েকটি ব্যাংকের ডিপিএস স্কিমের তথ্য দেওয়া হলোঃ
| ব্যাংক | স্কিমের নাম | লাভের হার (আনুমানিক) | অন্যান্য সুবিধা |
| ইসলামী ব্যাংক | মাসিক মুনাফা সঞ্চয় প্রকল্প | ৯.৫০% | ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক পরিচালিত, বিনিয়োগের সুযোগ |
| সোনালী ব্যাংক | সোনালী সঞ্চয় স্কিম | ৮.০০% | সরকারি ব্যাংক, তাই বিনিয়োগ নিরাপদ |
| জনতা ব্যাংক | জনতা মাসিক সঞ্চয় স্কিম | ৮.২৫% | দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের সুযোগ, সহজলভ্য |
| ডাচ বাংলা ব্যাংক | ডাচ বাংলা মাসিক সঞ্চয় প্রকল্প | ৮.৭৫% | অনলাইন সুবিধা, দ্রুত সেবা |
| কৃষি ব্যাংক | কৃষি ব্যাংক মাসিক সঞ্চয় প্রকল্প | ৭.৫০% | গ্রামীণ এলাকায় সহজলভ্য, কৃষকদের জন্য বিশেষ সুবিধা |
ডিপিএস এর লাভের হার
ডিপিএস-এর সুদের হার ব্যাংক ও স্কিম ভেদে ভিন্ন হয়। লাভের হার সাধারণত ৬% থেকে ১০% পর্যন্ত হতে পারে।
সুদের হার সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকেঃ
- ফিক্সড রেটঃএই ক্ষেত্রে লাভের হার পুরো মেয়াদের জন্য একই থাকে।
- পরিবর্তনশীল রেটঃ এই ক্ষেত্রে লাভের হার বাজারের পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে।
ডিপিএস-এর লাভের হার নির্ভর করেঃ
- ব্যাংকের নীতিঃ প্রতিটি ব্যাংকের নিজস্ব নীতিমালা অনুসারে লাভের হার নির্ধারিত হয়।
- অর্থনৈতিক অবস্থাঃ দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে সুদের হার পরিবর্তিত হতে পারে।
- মেয়াদঃ সাধারণত দীর্ঘমেয়াদী ডিপিএস-এ সুদের হার বেশি থাকে।
বিভিন্ন ব্যাংকের ডিপিএস টেবিল
বিভিন্ন ব্যাংকের ডিপিএস টেবিল নিচে দেওয়া হলো। এখানে মাসিক কিস্তি এবং মেয়াদের উপর ভিত্তি করে আপনি কত টাকা ফেরত পেতে পারেন তার একটি ধারণা দেওয়া হলো-
| ব্যাংক | মাসিক কিস্তি | মেয়াদ (বছর) | লাভের হার (আনুমানিক) | মেয়াদ শেষে আনুমানিক প্রাপ্তি |
| ইসলামী ব্যাংক | ১,০০০ টাকা | ৫ বছর | ৯.৫০% | ৭০,০০০ টাকা |
| সোনালী ব্যাংক | ১,০০০ টাকা | ৫ বছর | ৮.০০% | ৬৭,০০০ টাকা |
| জনতা ব্যাংক | ১,০০০ টাকা | ৫ বছর | ৮.২৫% | ৬৮,০০০ টাকা |
| ডাচ বাংলা ব্যাংক | ১,০০০ টাকা | ৫ বছর | ৮.৭৫% | ৬৯,০০০ টাকা |
| কৃষি ব্যাংক | ১,০০০ টাকা | ৫ বছর | ৭.৫০% | ৬৬,০০০ টাকা |
ডিপিএস বনাম ফিক্সড ডিপোজিট
ডিপিএস এবং ফিক্সড ডিপোজিট দুটোই জনপ্রিয় সঞ্চয় মাধ্যম। তবে দুটির মধ্যে কিছু মৌলিক পার্থক্য রয়েছে।
| বৈশিষ্ট্য | ডিপিএস (DPS) | ফিক্সড ডিপোজিট (Fixed Deposit) |
| প্রকৃতি | মাসিক কিস্তিতে টাকা জমা দিতে হয় | একবারে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমা দিতে হয় |
| মেয়াদ | সাধারণত ৫, ১০, ১৫ বছর বা তার বেশি মেয়াদের হয়ে থাকে | সাধারণত ৩ মাস থেকে ৫ বছর পর্যন্ত হয়ে থাকে |
| সুদের হার | তুলনামূলকভাবে বেশি | তুলনামূলকভাবে কম |
| কর সুবিধা | কিছু ক্ষেত্রে কর ছাড় পাওয়া যায় | কর ছাড়ের সুবিধা কম |
| লক্ষ | দীর্ঘমেয়াদী আর্থিক লক্ষ্য পূরণের জন্য উপযুক্ত | স্বল্প ও মধ্যমেয়াদী লক্ষ্যের জন্য ভালো |
| তারল্য (Liquidity) | মেয়াদ পূর্তির আগে টাকা তোলা কঠিন | মেয়াদ পূর্তির আগে টাকা তোলা তুলনামূলকভাবে সহজ |
| ঝুঁকি | কম ঝুঁকিপূর্ণ | কম ঝুঁকিপূর্ণ |
ডিপিএস এর মেয়াদ
ডিপিএস-এর মেয়াদ সাধারণত ৫ বছর থেকে শুরু করে ১৫ বছর বা তার বেশি হতে পারে। আপনি আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী মেয়াদ নির্বাচন করতে পারেন।
মেয়াদ যত বেশি হবে, আপনার জমানো টাকার পরিমাণও তত বেশি হবে। তাই দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা থাকলে বেশি মেয়াদের ডিপিএস করাই ভালো।
ডিপিএস এর ট্যাক্স সুবিধা
ডিপিএস-এর উপর ট্যাক্স সুবিধা পাওয়া যায়। কিছু ক্ষেত্রে, ডিপিএস-এর জমার উপর কর ছাড় পাওয়া যায়, যা আপনার মোট করযোগ্য আয় কমাতে সাহায্য করে।
তবে, এই সুবিধা সরকারের নিয়ম ও শর্তের উপর নির্ভরশীল। তাই ডিপিএস খোলার আগে ট্যাক্স সুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া ভালো।
অনলাইন ডিপিএস
বর্তমানে অনেক ব্যাংক অনলাইন ডিপিএস-এর সুবিধা দিচ্ছে। এর মাধ্যমে আপনি ঘরে বসেই ডিপিএস অ্যাকাউন্ট খুলতে এবং টাকা জমা দিতে পারবেন।
অনলাইন ডিপিএস খোলার জন্য আপনাকে ব্যাংকের ওয়েবসাইটে গিয়ে একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। এরপর প্রয়োজনীয় তথ্য ও কাগজপত্র আপলোড করে আপনি ডিপিএস শুরু করতে পারবেন।
ডিপিএস এর ফর্ম
ডিপিএস-এর ফর্ম ব্যাংক থেকে সংগ্রহ করতে হয়। ফর্মে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য, নমিনির তথ্য এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য পূরণ করতে হবে।
ফর্ম পূরণের সময় সতর্ক থাকতে হবে, যাতে কোনো ভুল না হয়। ভুল তথ্য দিলে আপনার আবেদন বাতিল হতে পারে।
ডিপিএস এর টাকা তোলার নিয়ম
ডিপিএস-এর মেয়াদ শেষ হলে আপনি টাকা তুলতে পারবেন। টাকা তোলার জন্য আপনাকে ব্যাংকে একটি আবেদন করতে হবে।
আবেদনের সাথে আপনার পরিচয়পত্র ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে। ব্যাংক আপনার আবেদন যাচাই করে টাকা পরিশোধ করবে।
ডিপিএস এর জন্য ব্যাংক নির্বাচন
ডিপিএস করার জন্য সঠিক ব্যাংক নির্বাচন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিচে কয়েকটি বিষয় আলোচনা করা হলো, যা আপনাকে ব্যাংক নির্বাচনে সাহায্য করবে-
- লাভের হারঃ কোন ব্যাংক বেশি সুদ দিচ্ছে, তা জেনে নিন।
- সার্ভিস চার্জঃ ব্যাংকের সার্ভিস চার্জ সম্পর্কে জেনে নিন।
- ব্যাংকের সুনামঃ ব্যাংকের সুনাম ও গ্রাহক পরিষেবা কেমন, তা বিবেচনা করুন।
- অনলাইন সুবিধাঃ ব্যাংক অনলাইন সুবিধা দেয় কিনা, তা জেনে নিন।
- নিকটবর্তী শাখাঃ আপনার বাড়ির কাছে ব্যাংকের শাখা আছে কিনা, তা দেখে নিন।
বিভিন্ন ব্যাংকের মধ্যে তুলনা করে আপনার জন্য সেরা ব্যাংকটি নির্বাচন করতে পারেন।
ইসলামী ব্যাংক ডিপিএস করতে কি কি লাগে
ইসলামী ব্যাংক ডিপিএস করতে যা যা লাগে তার একটি তালিকা নিচে দেওয়া হলোঃ
| প্রয়োজনীয় কাগজপত্র | মন্তব্য |
| আবেদনপত্র | ইসলামী ব্যাংক থেকে সংগ্রহ করতে হবে |
| জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) অথবা পাসপোর্ট অথবা জন্ম সনদ | গ্রাহকের পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য |
| পাসপোর্ট সাইজের ছবি | ২-৩ কপি |
| নমিনির ছবি ও পরিচয়পত্র | নমিনির বিস্তারিত তথ্য |
| ঠিকানা প্রমাণের জন্য ইউটিলিটি বিলের কপি (বিদ্যুৎ/গ্যাস) | বর্তমান ঠিকানা নিশ্চিত করার জন্য |
| টিআইএন (TIN) সার্টিফিকেট (যদি থাকে) | ট্যাক্স সংক্রান্ত সুবিধার জন্য |
সোনালী ব্যাংক ডিপিএস করতে কি কি লাগে
সোনালী ব্যাংক ডিপিএস করতে যা যা লাগে তার একটি তালিকা নিচে দেওয়া হলোঃ
| প্রয়োজনীয় কাগজপত্র | মন্তব্য |
| আবেদনপত্র | সোনালী ব্যাংক থেকে সংগ্রহ করতে হবে |
| জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) অথবা পাসপোর্ট অথবা জন্ম সনদ | গ্রাহকের পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য |
| পাসপোর্ট সাইজের ছবি | ২-৩ কপি |
| নমিনির ছবি ও পরিচয়পত্র | নমিনির বিস্তারিত তথ্য |
| ঠিকানা প্রমাণের জন্য ইউটিলিটি বিলের কপি (বিদ্যুৎ/গ্যাস) | বর্তমান ঠিকানা নিশ্চিত করার জন্য |
| টিআইএন (TIN) সার্টিফিকেট (যদি থাকে) | ট্যাক্স সংক্রান্ত সুবিধার জন্য |
জনতা ব্যাংক ডিপিএস করতে কি কি লাগে
জনতা ব্যাংক ডিপিএস করতে যা যা লাগে তার একটি তালিকা নিচে দেওয়া হলোঃ
| প্রয়োজনীয় কাগজপত্র | মন্তব্য |
| আবেদনপত্র | জনতা ব্যাংক থেকে সংগ্রহ করতে হবে |
| জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) অথবা পাসপোর্ট অথবা জন্ম সনদ | গ্রাহকের পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য |
| পাসপোর্ট সাইজের ছবি | ২-৩ কপি |
| নমিনির ছবি ও পরিচয়পত্র | নমিনির বিস্তারিত তথ্য |
| ঠিকানা প্রমাণের জন্য ইউটিলিটি বিলের কপি (বিদ্যুৎ/গ্যাস) | বর্তমান ঠিকানা নিশ্চিত করার জন্য |
| টিআইএন (TIN) সার্টিফিকেট (যদি থাকে) | ট্যাক্স সংক্রান্ত সুবিধার জন্য |
ডাচ বাংলা ব্যাংক ডিপিএস করতে কি কি লাগে
ডাচ বাংলা ব্যাংক ডিপিএস করতে যা যা লাগে তার একটি তালিকা নিচে দেওয়া হলোঃ
| প্রয়োজনীয় কাগজপত্র | মন্তব্য |
| আবেদনপত্র | ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে সংগ্রহ করতে হবে |
| জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) অথবা পাসপোর্ট অথবা জন্ম সনদ | গ্রাহকের পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য |
| পাসপোর্ট সাইজের ছবি | ২-৩ কপি |
| নমিনির ছবি ও পরিচয়পত্র | নমিনির বিস্তারিত তথ্য |
| ঠিকানা প্রমাণের জন্য ইউটিলিটি বিলের কপি (বিদ্যুৎ/গ্যাস) | বর্তমান ঠিকানা নিশ্চিত করার জন্য |
| টিআইএন (TIN) সার্টিফিকেট (যদি থাকে) | ট্যাক্স সংক্রান্ত সুবিধার জন্য |
কৃষি ব্যাংক ডিপিএস করতে কি কি লাগে
কৃষি ব্যাংক ডিপিএস করতে যা যা লাগে তার একটি তালিকা নিচে দেওয়া হলোঃ
| প্রয়োজনীয় কাগজপত্র | মন্তব্য |
| আবেদনপত্র | কৃষি ব্যাংক থেকে সংগ্রহ করতে হবে |
| জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) অথবা পাসপোর্ট অথবা জন্ম সনদ | গ্রাহকের পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য |
| পাসপোর্ট সাইজের ছবি | ২-৩ কপি |
| নমিনির ছবি ও পরিচয়পত্র | নমিনির বিস্তারিত তথ্য |
| ঠিকানা প্রমাণের জন্য ইউটিলিটি বিলের কপি (বিদ্যুৎ/গ্যাস) | বর্তমান ঠিকানা নিশ্চিত করার জন্য |
| টিআইএন (TIN) সার্টিফিকেট (যদি থাকে) | ট্যাক্স সংক্রান্ত সুবিধার জন্য |
শেষ কথাঃ
ডিপিএস একটি চমৎকার সঞ্চয় পরিকল্পনা, যা আপনার ভবিষ্যৎ জীবনের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে। আপনি যদি ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য একটি নিরাপদ এবং লাভজনক বিনিয়োগ করতে চান, তাহলে ডিপিএস আপনার জন্য একটি ভালো বিকল্প।
আরো জানুনঃ
প্রবাসী ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার নিয়ম। সুবিধা,চার্জ ও কাগজপত্র
ইসলামী ব্যাংক ভিসা কার্ড সুবিধা,অফার ও নতুনত্ব





