ফ্রান্স ওয়ার্ক পারমিট ভিসা। France Work Permit Visa
ফ্রান্স ওয়ার্ক পারমিট ভিসা যাওয়ার উপায়, খরচ ও অন্যান্য তথ্য জানতে সম্পূর্ণ পোস্টটি ধৈর্য সহকারে পড়ার অনুরোধ রইল। ফ্রান্স বা ফরাসি প্রজাতন্ত্র ইউরোপের একটি রাষ্ট্র। ফ্রান্স একটি সমৃদ্ধশালী দেশ হওয়ায় এটি আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করেছে। ফ্রান্স এর রাজধানী প্যারিস এবং এর সরকারি মুদ্রার নাম ইউরো।
বাংলাদেশের অনেক নাগরিক ফ্রান্সে প্রবাসরত আছেন আবার অনেকে নতুন করে ফ্রান্সে যেতে চাচ্ছেন। তাই আজকের পোস্টে ফ্রান্স ওয়ার্ক পারমিট ভিসা যাওয়ার উপায়, খরচ ও কোন কাজের বেতন বেশি সেই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
ফ্রান্স ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন
অনেকে মনে করে থাকেন ফ্রান্স একটি সেনজেন কান্ট্রি বা ইউরোপের কান্ট্রি হওয়ায় বৈধভাবে ফ্রান্সে যাওয়া সম্ভব না। যেটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। আপনার যদি সমার্থ থাকে তাহলে আপনি ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় বৈধভাবে ফ্রান্সে যেতে পারবেন। আপনি সরকারি বা বেসরকারি অনুমোদিত যেকোনো এজেন্সির সাহায্য ফ্রান্স ওয়ার্ক পারমিট ভিসা যেতে পারবেন। বৈধভাবে ফ্রান্সে গেলে কম খরচে ফ্রান্স যেতে পারবেন এছাড়াও খুব সহজে ফ্রান্সে নাগরিকত্ব নিতে পারবেন।
ফ্রান্স ওয়ার্ক পারমিট ভিসা কাগজপত্র
ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় ফ্রান্সে যেতে আপনার নিম্নোক্ত কাগজপত্র গুলো প্রয়োজন হবে। যেমন:
- ১ বছর মেয়াদি একটি বৈধ পাসপোর্ট
- পাসপোর্ট সাইজের সদ্য তোলা ৪ কপি রঙিন ছবি
- জাতীয় পরিচয় পত্রের কপি
- শিক্ষাগত যোগ্যতা সার্টিফিকেট
- ইংরেজি ভাষা দক্ষতা প্রমাণপত্র
- ছয় মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্সি সার্টিফিকেট
ফ্রান্স অস্থায়ী ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
নিচে দেওয়া কয়েকটি বিষয়ের উপর ভিত্তি করে ফ্রান্স সরকার প্রতি বছর অস্থায়ী ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রদান করে থাকেন। যেমন:
- খেলাধুলা, সংস্কৃতি, শৈল্পিক এবং বৈজ্ঞানিক অনুষ্ঠান
- ব্যবসা-বাণিজ্য বা সেমিনার
- টুরিস্ট বা মডেলিং
- ভিজিটিং প্রফেসর
- অস্থায়ী কোর্স বা ট্রেনিং
ফ্রান্স ওয়ার্ক পারমিট ভিসা খরচ
অনেকে জানতে চান বৈধভাবে বা অবৈধভাবে ফ্রান্সের যেতে কত টাকা খরচ হবে। সাধারণত আপনি যদি বৈধ ভাবে ফ্রান্সে যেতে চান তাহলে কমপক্ষে 8 থেকে 10 লক্ষ টাকা পর্যন্ত প্রয়োজন হতে পারে। কোন কোন ক্ষেত্রে এরকম বা বেশি ও হতে পারে। তবে অবৈধভাবে বা গেম এর মাধ্যমে ফ্রান্স যেতে হলে কমপক্ষে ১২ থেকে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে। এটি মূলত আপনার এজেন্সি বা দালালের উপরে নির্ভর করে।
ফ্রান্স ওয়ার্ক পারমিট ভিসা কোন কাজে বেতন বেশি
ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় ফ্রান্সে আসার পূর্বে ফ্রান্সে কোন কোন কাজের চাহিদা বা বেতন বেশি সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া উচিত। WageIndicator.org তথ্য অনুযায়ী ফ্রান্সে একজন শ্রমিকের সর্বনিম্ন বেতন ১,৫০০ থেকে ২,০০০ ইউরো পর্যন্ত হয়ে থাকে। যেটি বাংলাদেশি টাকায় দেড় থেকে দুই লক্ষ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। তবে কোন কোন ক্ষেত্রে কাজের ধরণ, দক্ষতা ও অভিজ্ঞাতার উপর নির্ভর করে কম বেশি হতে পারে।
ফ্রান্স ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মেয়াদ
ফ্রান্স ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মেয়াদ ৫ বছর পর্যন্ত হয়ে থাকে। ৫ বছর পর আপনি চাইলে সরাসরি ভিসা রিনিউ করতে পারবেন। অথবা সরাসরি দেশি ফিরে আসতে পারবেন।
ফ্রান্স ওয়ার্ক পারমিট ভিসার কোন কাজের চাহিদা বেশি
ফ্রান্স একটি উন্নতিশীল দেশ হওয়ায় এখানে বিভিন্ন কাজের অনেক বেশি চাহিদা রয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি ডিমান্ডেড বা চাহিদা সম্পন্ন কাজগুলো তালিকা নিম্নে বর্ণনা করা হলো।
- রেস্টুরেন্ট
- আইটি এন্ড কম্পিউটার প্রোগ্রাম
- ফ্যাশন টেকনোলজি
- চিকিৎসক
- কনস্ট্রাকশন
- হোটেল ম্যানেজমেন্ট
- ওকালতি
- ফ্যামিলি ডাক্তর
এছাড়াও যেকোনো বিষয়ে ভালো জব এক্সপিরিয়েন্স থাকলে খুব সহজে ফ্রান্সে আসতে পারবেন এবং উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ তৈরি করতে পারবেন। আশা করি আজকের পোস্ট আপনাদের খুব বেশি উপকারে আসবে। এরকম আরো গুরুত্বপূর্ণ কনটেন্ট পেতে চোখ রাখুন Onlinesheba24 ওয়েবসাইটে।
আরো জানুনঃ
ফ্রান্সের ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা?






